1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে প্রথম অপরাধ, তদন্তে নাসা

২৫ আগস্ট ২০১৯

মহাকাশচারী অ্যান ম্যাকক্লেইনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/3OSDn
মহাকাশে প্রথম অপরাধে অভিযুক্ত মার্কিন মহাকাশচারী অ্যান ম্যাকক্লেইনছবি: AFP/STR

মহাকাশে ঘটা প্রথম কোনো অপরাধ এটি৷ মার্কিন মহাকাশ সংস্থা- নাসা এখন ঘটনাটির তদন্ত করছে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, অ্যান ম্যাকক্লেইনের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছিলো৷ এর মধ্যেই স্পেস স্টেশন থেকে এই অপরাধ করেন ম্যাকক্লেইন৷

ম্যাকক্লেইনের স্ত্রী সামার ওয়ার্ডেন মার্কিন বিমান বাহিনীর একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা৷ ওয়ার্ডেন জানিয়েছেন, ম্যাকক্লেইন চুরি করে তার খরচের হিসাব দেখছেন বুঝতে পেরে তিনি ‘হতভম্ব'৷

পরিচয় চুরির অভিযোগ

ম্যাকক্লেইনের বিরুদ্ধে পরিচয় চুরি করার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওয়ার্ডেন৷ তবে ম্যাকক্লেইনের দাবি, তিনি ভুল কিছু করেননি৷ এর আগেও ওয়ার্ডেনের সম্মতিতেই তিনি তাদের আয়-ব্যয়ের ‘যৌথ' হিসেবের তথ্য দেখেছেন বলেও দাবি ম্যাকক্লেইনের৷

ম্যাকক্লেইনের আইনজীবী রাস্টি হার্ডিন জানিয়েছেন, তার মক্কেল ‘বেআইনি কিছু করার অভিযোগ অস্বীকার' করেছেন এবং তদন্তে ‘সব ধরনের সহযোগিতা' করছেন৷ তাকে এরই মধ্যে স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরিয়েও আনা হয়েছে৷

মহাকাশের প্রথম অপরাধ, আইন কী?

মহাকাশে কোনো দেশের সীমানা নেই৷ ফলে সেখানে কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে, তার বিচার কোন আইনে হবে, সে নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই৷ কিন্তু এমন আশংকা ও চিন্তা ভাবনা অনেক আগে থেকেই মহাকাশ সংস্থাগুলোর মাথায় ছিল৷

মহাকাশ স্টেশনের মালিকানায় রয়েছে পাঁচটি দেশ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ক্যানাডা. জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ যে দেশের মহাকাশচারী অপরাধে জড়িত হবেন, সেদেশের আইনেই তার বিচার করার বিধান রাখা হয়েছে৷

মহাকাশে ইউরোপকে একটি দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ ফলে ইউরোপের কোনো ‘মহাকাশ অপরাধীর' বিচার ইউরোপীয় আইনেই হবে৷ তবে চাইলে কোনো ইউরোপীয় দেশ তার নিজস্ব আইনেও তার মহাকাশচারীর বিচার করতে পারবে৷ মহাকাশে সংগঠিত অপরাধের জন্য রাখা হয়েছে প্রতাবর্তনের ব্যবস্থাও৷ ফলে যে দেশের অপরাধী, সে দেশ চাইলেই মহাকাশচারীকে নিজের দেশে ফেরত নিয়ে বিচার করতে পারবে৷

ম্যাকক্লেইনের সঙ্গে পরিচয়ের পর সন্তানের জন্ম দেন ওয়ার্ডেন৷  ম্যাকক্লেইন ছেলেটিকে দত্তক নিতে চাইলেও ওয়ার্ডেন শুরু থেকেই তাতে বাধা দিয়ে আসছেন৷ এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ এখন ওয়ার্ডেন বিচ্ছেদের পক্ষে মহাকাশ থেকে করা ম্যাকক্লেইনের অপরাধটিকেও শক্ত যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছেন৷

কিন্তু এটা প্রমাণ করা ওয়ার্ডেনের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে৷ একটা ডিভোর্স মামলার তদন্তের জন্য নাসা তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় থাকা কম্পিউটার ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে দিবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন৷

এলিজাবেথ শুমাখার/এডিকে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য