মধ্যপ্রাচ্যে মাটির নিচের জল কবে শুকিয়ে যাবে?
নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। খরা হচ্ছে। ফলে ভূগর্ভস্থ জল দিয়ে চাষ হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে এই ভূগর্ভস্থ জলই বা আর কতদিন পাওয়া যাবে?
খরা সত্ত্বেও
প্রবল খরা সত্ত্বেও ইরাকে এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কীভাবে? মাটির নিচে থাকা জল তুলে নিয়ে চাষ হয়েছে।
টিউনিশিয়ার কাহিনি
টিউনিশিয়ার খেজুর গাছের মরুদ্যানকে আরো বাড়ানো হয়েছে ওই মাটির নিচের জল ব্যবহার করেই। ইরাকের গমের মতো টিউনিশিয়ায় মরুদ্যান আরো বাড়ানোর পিছনে আছে সেই একই কাহিনি। মাটির নিচ থেকে যথেচ্ছভাবে জল তুলে নেয়ার গল্প।
সৌরশক্তি ব্যবহার করে
ইয়েমেন তো সৌরশক্তি দিয়ে পাম্প চালিয়ে মাটির নিচ থেকে জল উপরে তুলছে।
কতটা জল আছে?
মধ্যপ্রাচ্যে দেখা গেছে, মাটির উপরের অবস্থা যতই খারাপ হোক না কেন, মাটির নিচের জল সেখানে পাওয়া যায়। কিন্তু এখন বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার পরিবর্চতন হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যেও নদীতে জল কমছে, জলাধার শুকিয়ে যাচ্ছে। মাটির নিচ থেকে জল তোলার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। তারপর প্রশ্ন উঠেছে, আর কতটা জল এখানে মাটির নিচে আছে?
মধ্যপ্রাচ্যের অসুবিধা
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের ক্ষেত্রে মাটির নিচের জলের পরিমাপ করা সম্ভব নয়। যেমন ইয়েমেন। এখানে প্রায় এক দশক ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। আবার সৌদি নিজের মাচির নিচের জল সম্পর্কে সচেতন হয়ে কৃষি প্রসারের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। কিন্তু অনেক দেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
জল কমছে
জলবায়ু সংক্রান্ত নাসার উপগ্রহ গ্রেস যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে মাটির তলায় জলের পরিমাণ কমেছে। গত এক দশক ধরে জলের পরিমাণ কমছে। অন্য গবেষণার ফল বলছে, যতটা পরিমাণ জল তোলা হচ্ছে, ততটা পরিমাণ জল ভূগর্ভে আসছে না। সাধারণত, বৃষ্টি, কোনো নদী বা জলাধার থেকে মাটির নিচে জল যায়। তবে মধ্যপ্রাচ্যে মাটির নিচের জল কবে শেষ হবে, সেটা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। উপরের ছবিটি গ্রেস উৎক্ষেপণের।
জল-নীতি নেই
পরিস্থিতি খারাপ। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ দেশের জলসংক্রান্ত নীতি নেই। থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয় না। ফলে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্য।