মধ্যপ্রাচ্যে করোনার প্রভাব
করোনায় বিপর্যস্ত ইরান৷ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশও তাই শঙ্কিত৷ সব দেশেই নেয়া হচ্ছে জরুরি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা৷ মসজিদ, দোকানপাট, বিমানবন্দর, অফিস-আদালত, বলতে গেলে সবজায়গাতেই পড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রভাব৷
ইরান ধুঁকছে
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ৷ প্রায় ১৩ হাজার মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ায় এবং অন্তত ৬১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার বলা হচ্ছে দেশটিকে৷ পরিস্থিতি সামলাতে সারাদেশে জুম্মার নামাজসহ বড় ধরনের সব জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ তবে অর্থের অভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক পদক্ষেপই নেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ এ কারণে আইএমএফ-এর জরুরি সহায়তা চেয়েছে সরকার৷
সংকট বাড়ার আগেই সতর্ক সৌদিআরব
করোনা ঠেকাতে ইতিমধ্যে বিমানের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে সৌদি সরকার৷ শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় জানানো হয়, আগামী ১৫ দিন সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে৷ জনগণের প্রতি করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, কেউ রোগ লুকিয়ে রাখলে পাঁচ লাখ রিয়াল বা এক লাখ ২০ হাজার ইউরো জরিমানা করা হবে৷ সৌদি আরবে এখনো করোনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি৷
ইসরায়েলে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ
ইসরায়েলের গবেষকরা বলছেন, সে দেশে অচিরেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়তে পারে৷ তবে তার আগেই চূড়ান্ত সতর্কতার পথ ধরেছে সরকার৷ কোনো স্থানে একশ’ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বেথেলহেমে৷
করোনাকে দূরে রাখতে মরিয়া কুয়েত
করোনা থেকে বাঁচতে সারা দেশে দু’সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার৷ সব ধরনের বাণিজ্যিক ফ্লাইট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ৷ রেস্তোরাঁ, শপিং মল এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কেন্দ্রের সামনে যে-কোনো ধরনের জমায়েতও এখন নিষিদ্ধ৷
ইরাকে বিক্ষোভ থামাতে পারেনি করোনা
ইরাকে এখনো চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ৷ সংক্রমণ এড়াতে বিক্ষোভকারীরাই অবশ্য সাবধানতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷ মসজিদসহ সব স্থানে জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার৷ তারপরও করোনায় বিপর্যস্ত ইরানের এই প্রতিবেশী দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে৷