1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্য প্রদেশে সরকার ভাঙার চেষ্টায় বিজেপি

৪ মার্চ ২০২০

আবার শুরু হয়েছে বিজেপির 'অপারেশন কমল'। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মধ্য প্রদেশের দশ জন কংগ্রেসি ও সরকারের সমর্থক বিধায়ককে ভোপাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে হরিয়ানা ও কর্ণাটকে। ফলে মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস পরিচালিত কমল নাথ সরকার সঙ্কটে।

https://p.dw.com/p/3Ypnt
ছবি: Imago/Hindustan Times/M. Faruqui

কর্ণাটকের পর এ বার  বিজেপির লক্ষ্য মধ্য প্রদেশ। কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যে সরকার ভাঙার খেলায় নেমেছে বিজেপি। ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ১৫ মাস আগে বিধানসভার ভোটে বিজেপি হেরে যায়। কিন্তু অতীতের উদাহরণ বলছে, হেরে যাওয়ার পরেও সরকার গঠনের জন্য ঝাঁপায় বিজেপি। এভাবেই একাধিক চেষ্টার পর কর্ণাটকেবিধায়ক ভাঙিয়ে এনে দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামীর নেতৃত্বে জেডিএস ও কংগ্রেসের জোট সরকার ভেঙে দিয়ে আবার ক্ষমতায় চলে এসেছেন বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রেসের অভিযোগ, এ বার মধ্য প্রদেশে সেই খেলাটাই খেলছে বিজেপি। তারা আবার বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় নেমেছে। 

ভোপাল থেকে দশজন বিধায়ককে হরিয়ানা ও কর্ণাটকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হরিয়ানায় তাঁদের রাখা হয়েছে দিল্লি-ঘেঁষা মানেসরে। তারপর শুরু হয়েছে নাটক। রাতে মানেসরের পাঁচ তারা হোটেলে কংগ্রেস পাল্টা অপারেশন চালিয়েছে। মন্ত্রী জিতু পাটোয়ারি ও সাংসদ জয়বর্ধন সিং গিয়ে বিএসপি বিধায়ক রমাবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। সূত্রের খবর, বিজেপি তাঁকে আটকে রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু তিনি সেই বাধা অতিক্রম করে চলে এসেছেন। জিতু পটোয়ারির অভিযোগ, ''বিজেপি নেতারা কংগ্রেস, বিএসপি, নির্দল বিধায়কদের ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রলোভন দিচ্ছে।  কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক বেঙ্গালুরুতে আছেন। কয়েকজনকে মানেসরে রাখা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সকলের যোগাযোগ আছে।''

পরে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং জানান, ''কংগ্রেসের ছয় জন বিধায়ককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। চারজন বিধায়ক এখনও বিজেপির কাছে আছেন। তাঁদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।'' তবে কংগ্রেসের দাবি, তারা পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। সঙ্কট একেবারে যায়নি। কিন্তু সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। যদি সত্যিই সরকারের সমর্থক চারজন বিধায়ক বিজেপির কাছে থাকে, তা হলে সঙ্কট সেভাবে থাকছে না। কারণ, ২৩০ সদস্যের বিধানসভায় দুইটি আসন খালি। ২২৮ সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন ১২০ জন বিধায়ক এবং বিজেপির কাছে ১০৭ জন বিধায়ক। তাই চারজনকে নিয়ে বিজেপি সরকার ফেলতে পারবে না। সংখ্যাটা আর তিনজন বেড়ে গেলে তারা সরকার ফেলে দিতে পারবে। 

বিজেপি যথারীতি বলেছে, এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দলের মুখপাত্র সুদেশ বর্মা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছেন। এটা ওদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এর সঙ্গে বিজেপির যোগ নেই। কংগ্রেসের অন্তর্কলহে যদি সরকার সঙ্কটে পড়ে তো বিজেপি কী করবে?''

ঘটনা হল, কর্ণাটকেও বিজেপির যুক্তি ছিল এটাই। পরে দেখা গেল, তারা কংগ্রেস ও জেডিএস থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে সরকার ফেলে দিতে পারল। মধ্য প্রদেশে বিজেপি সফল হল কি না, দিন কয়েকের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে।

জিএইচ/এসজি(এএনআই, পিটিআই)