‘চাই নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা'
১ জানুয়ারি ২০১৬শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের বিভিন্ন দৈনিক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছাপা তাঁর একটি কলামে নতুন বছরে নিজের ১০টি প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন৷ তাঁর সেই ১০টি প্রত্যাশা হলো – ১. পাকিস্তানি ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার, ২. হেনরি কিসিঞ্জারের প্রতীকী বিচার, ৩. জামায়াত মুক্ত বিএনপি, ৪. আলাদা সাইকেল লেন, ৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা, ৬. দুটি পাবলিক পরীক্ষা, ৭. পত্রিকায় গাইড বই প্রকাশ বন্ধ করা, ৮. প্রশ্ন ফাঁস থেকে মুক্তি, ৯. ফেসবুক থেকে মোহমুক্তি এবং ১০. সবার জন্যে প্রবেশগম্যতা৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই ১০টি প্রত্যাশা পূরণ করতে কোনো অর্থ খরচ হবে না, শুধুমাত্র সদিচ্ছাই যথেষ্ঠ৷''
জাফর ইকবালের মতো গুছিয়ে বলতে পারেন না সাধারণ মানুষ৷ তবে তাঁদেরও প্রত্যাশা আছে, আছে চাওয়া-পাওয়া৷ আর সেই প্রত্যাশা পূরণেও বাড়তি কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না৷
ঢাকার পান্থপথে চায়ের দোকানদার মোহাম্মদ ফারুক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা যাতে ভালো থাকতে পারি নতুন বছরে, এটাই প্রত্যাশা৷ আমার ব্যবসায় যেন কোনো সমস্যা না হয়, যেন কোনো বাধা না আসে৷''
তাঁর কথায়, ‘‘যদি দেশের রাজনৈতিক দলগুলো মিলে-মিশে থাকে৷ হরতাল, সংঘাত, সংঘর্ষ না হয়, তাহলে দেশ ভালো থাকবে৷ দেশের মানুষও ভালো থাকবে৷'' তাঁর মতে, দেশের অনেক উন্নতি হচ্ছে৷ তবে নির্বাচনে সব দল আসলে আরো ভালো হবে৷ এছাড়া ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে সরকার খুব ভালো কাজ করেছে'' – এ কথাও বলেন মোহাম্মদ ফারুক৷
কলাবাগান বাজারে কথা হয় বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে৷ তাঁর প্রত্যাশাও ফারুকের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে মিলে যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে৷ জীবনযুদ্ধে সবাই যেন বিজয়ী হয়৷''
এই বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুস সালামের কথায়, ‘‘ভালোভাবে বেঁচে থাকতে চাই৷ পরিবারের সবার মুখে হাসি দেখতে চাই৷''
তবে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন স্কুল শিক্ষক রবিউল ইসলাম৷ তিনি বলেন, ‘‘নিরাপদে ঘরে থাকারও পরিস্থিতি নেই৷ সাধারণ মানুষের চাওয়া তো খুব বেশি না৷ খেয়ে পরে শান্তিতে থাকতে চায় সবাই৷ আমিও চাই একটা নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা৷''
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফুর রহমানের আশা, ‘‘দেশ যেন অস্থির সময় পার করে সুস্থির গতিতে এগিয়ে যায়৷ জঙ্গিবাদ যেন দূর হয়৷ লেখালেখি বা মত প্রকাশের জন্য কাউকে যেন জীবন দিতে না হয়৷''
বন্ধু, নববর্ষে আপনার প্রত্যাশা কী? বিস্তারিত জানান নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷