ভার্চুয়াল রিয়ালিটি দিয়ে অ্যামাজনে ঘোরা
১০ আগস্ট ২০২০বার্লিনের ইন্টাব়্যাকটিভ মিডিয়া ফাউন্ডেশনে কাজ করা ইনা ক্রুগার ও তার সহকর্মীরা একটি ইন্সটলেশন বানিয়েছেন৷ এতে তারা অ্যামাজনের টুমুকুমাকে জাতীয় উদ্যানের ৪০০ হেক্টর এলাকা তৈরি করেছেন৷ প্রায় সাড়ে সাত হাজার গাছ এঁকে প্রোগ্রাম করা হয়েছে৷ সময় লেগেছে এক বছরের বেশি৷ বিশ্বের বিভিন্ন মিউজিয়ামে ইন্সটলেশনটি এখন দেখানো হচ্ছে৷ এটি দিয়ে পাঁচটি প্রাণীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া যায়৷
ইনসাইড টুমুকুমাকে প্রকল্পের ক্রিয়েটিভ ডাইরেক্টর ইনা ক্রুগার বলছেন, ‘‘আমরা মানুষকে এমন অভিজ্ঞতা দিতে চেয়েছি, যার মাধ্যমে তারা ঐ প্রাণীদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জানতে পারবেন৷ এভাবে ঐ প্রাণীদের প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি হবে৷... আমরা সফল হচ্ছি৷ কারণ, অনেক মানুষ আমাদের কাছে জানতে চাইছেন: ‘পয়জন ডার্ট ফ্রগ' কি সত্যিই সন্ধ্যাবেলায় ওমন অদ্ভুত রং দেখতে পায়? আপনারা কীভাবে জানেন, কীভাবে আমরা এ সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে পারি?’’
জীববিজ্ঞানী ইয়ানা হফমান শুরুতে এই ইনস্টলেশনে কিছু ভুল পেয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘শুরুতে আমরা যখন ঐ দ্বীপের প্রোটোটাইপ দেখেছিলাম, তখন দেখলাম সেখানে এমন কিছু গাছ দেখানো হয়েছে যা দক্ষিণ অ্যামেরিকায় নেই৷ আর অ্যামাজনেতো নয়ই৷’’
নতুন প্রজন্মের দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারের গুরুত্ব আছে বলে মনে করে বার্লিনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ৷ তাই সম্প্রতি তারা তাদের প্রদর্শিত ৩০ মিলিয়ন অবজেক্ট ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ এজন্য কিছু অবজেক্টের ছবি তোলা হচ্ছে৷
আর বাকিগুলো স্ক্যান করা হচ্ছে৷ এতে পোকামাকড়ের জন্য তৈরি বিশ্বের প্রথম থ্রিডি স্ক্যানার ব্যবহৃত হচ্ছে৷
বিজ্ঞানীদের জন্য তো বটেই, দর্শকদের জন্যও এ এক দারুণ খবর৷
ইয়ানা হফমান বলেন, ‘‘বিশেষ করে স্কুল শিক্ষার্থীরা এই ডিজিটাল প্রদর্শনী পছন্দ করছে৷ স্থানীয় ফ্লোরা, ফনা তুলে ধরতে আমরা নিজেরাও এডুকেশনাল অ্যাপ তৈরি করছি৷ ডিজিটাল ফরমেট দিয়ে আমরা পরের প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি৷ ফলে তরুণদের কাছে অনেক বিষয় আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে৷
মিউজিয়ামের অবজেক্ট ডিজিটালাইজ করেই হোক কিংবা ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হার্পি ঈগলের সঙ্গে অ্যামাজনে উড়ে বেড়ানোর মতো নতুন অভিজ্ঞতা- উদ্দেশ্য একটাই, বন্যপ্রাণীদের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো৷
ইউলিয়া হেনরিশমান/জেডএইচ