ভারতে এসির ব্যবহার বাড়ছে, উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্ব
৯ ডিসেম্বর ২০১৮২০১৬ সালে রাজস্থানের ফালোদি শহরে তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল – যা একটি রেকর্ড৷ এমন অসহনীয় গরম থেকে মুক্তি পেতে ভারতের নাগরিকরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) যন্ত্রের উপর নির্ভর করেন৷ ফলে ৩০ বছর আগে যেখানে ভারতে এসি ব্যবহারের হার প্রায় শূন্যের কোটায় ছিল, সেখানে আজ প্রায় পাঁচ শতাংশ মানুষ এসি ব্যবহার করছেন৷ সংখ্যার হিসেবে সেটি প্রায় ৩০ মিলিয়ন ইউনিট৷
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক দশকে ভারতে এসির বাজারে প্রবৃদ্ধির হার দশ শতাংশের বেশি ছিল৷ এছাড়া মানুষের আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং এসি চালানোর মতো বিদ্যুতের জোগান থাকায় ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে ব্যবহৃত এসি ইউনিটের সংখ্যা একশ কোটি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
অর্থাৎ গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষ বিশ্বকে আরও গরম করে তুলবে৷ কারণ এসি তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ এবং সেটি চালাতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে উৎস, সেগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ ভারতে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের দুই-তৃতীয়াংশ আসে কয়লা আর গ্যাস থেকে৷ যদিও সে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার বাড়ছে, তবুও আরও কয়েক দশক জীবাশ্ম জ্বালানির উপরই ভারতের নির্ভর করতে হবে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে৷
এই অবস্থায় ভারতের সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ী এসি ব্যবহারে নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে৷ কিন্তু এমন এসির দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে৷ তাছাড়া ভারতের মতো দেশে এসি নষ্ট হয়ে গেলে সেটি ফেলে না দিয়ে মেরামতের দিকেই মানুষের আগ্রহ থাকে বেশি৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)