ভারতীয় উদ্যোক্তারা আফ্রিকায় প্রচুর বিনিয়োগ করছেন
৮ মে ২০১১আফ্রিকা মহাদেশে চীনের বিনিয়োগ সব সময়েই সংবাদ শিরোনাম হয়ে ওঠে৷ কিন্তু সেই উপস্থিতির আড়ালে ভারতের লগ্নিকারীরাও আফ্রিকায় তাদের সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট বলে লিখেছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘নয় স্যুরশার সাইটুং'৷ পত্রিকা লিখছে:
আর্সেলর মিত্তল, টাটা, তেল কোম্পানি ওএনজিসি এবং বেদান্ত রিসোর্সেস দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির বড় বড় কোম্পানিগুলো খুবই সক্রিয়৷...বিদেশে ভারতের বিনিয়োগের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই হল আফ্রিকায়৷ তৈরি করা হচ্ছে তেল শোধনাগার ও পাইপলাইন, বন্দর আর রেললাইন৷ ভারত আর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ১৯৯১ সালের ৯৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে বার্ষিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি৷ ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে পণ্যবিনিময় বৃদ্ধির বার্ষিক হার বর্তমানে গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ৷ এরকম বৃদ্ধি শুধু চীনের ক্ষেত্রেই দেখানো যেতে পারে৷ অবশ্য বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই প্রাধান্য৷
তেল, কয়লা, তামার মত খনিজ পদার্থের সন্ধানেই ছুটে যাচ্ছে ভারত আফ্রিকায়, বলছে এই সুইস পত্রিকা৷ ‘নয় স্যুরশার সাইটুং লিখছে: ভারতের আগ্রহ মূলত আফ্রিকার কাঁচামালের বিপুল আধারকে ঘিরে৷ সুদানে তেল উত্তোলন করছে ওএনজিসি৷ গ্যাবন আর আইভরি কোস্টেও এই প্রতিষ্ঠান সক্রিয়৷ আঙ্গোলা আর নাইজেরিয়ার উপকূলের অদূরে অবস্থিত তেলক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের চেষ্টা করছে এই সংস্থাটি বেশ জোরেশোরে৷ জাম্বিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি কোম্পানির ৭৯ শতাংশই বেদান্ত রিসোর্সেস প্রতিষ্ঠানের হাতে৷ টাটা স্টিল মূলত সক্রিয় আইভরি কোস্টে৷
মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক, মোটর গাড়ি তৈরি, আইটি - এই সব খাতও দৃষ্টি এড়িয়ে যাচ্ছেনা ভারতীয় কোম্পানিগুলোর৷ ‘নয় স্যুরশার সাইটুং' লিখছে: বিনিয়োগ আর ব্যবসা বাণিজ্যে ভারত চীনের কাছাকাছি পৌঁছতে না পারলেও বেইজিং-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তার অবস্থান যে বাড়ছে ক্রমশ তাতে আফ্রিকার দেশগুলো খুবই খুশি৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন