ভবিষ্যতের দূষণহীন গণপরিবহন ব্যবস্থার স্বপ্ন
৩১ মে ২০১৭বার্লিনের প্রথম স্বয়ংক্রিয় বাসের নাম ‘অলি’৷ সেন্সরের মাধ্যমে সে বাধা-বিপত্তি শনাক্ত করতে পারে৷ কিন্তু এখনো পথে নামার অনুমতি পায়নি৷ মাস তিনেক ধরে নির্ধারিত জায়গায় পরীক্ষামূলক যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে৷ পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ভেয়ার্ট কানৎসলার মনে করেন, ভবিষ্যতে চালকবিহীন বাস স্বাভাবিক হয়ে উঠবে৷ পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ভেয়ার্ট কানৎসলার বলেন, ‘‘এটা সত্যি বাস্তব অবস্থা, এই বাস তা থেকে শিক্ষাও নিচ্ছে৷ ফলে কখনো গোলমাল হয়, আচমকা ব্রেক করতে হয়৷’’
কয়েক বছরের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয় বাসগুলির পথে নামার কথা৷ সেটাই হবে এই প্রবণতার সূচনা৷ ভবিষ্যতে পরিবহণ ব্যবস্থার চালচিত্র পুরোপুরি বদলে যেতে পারে৷ নানা ধরনের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে৷ তখন আমরা আমাদের পছন্দসই যান বেছে নিতে পারবো৷ কানৎসলার বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে মূলমন্ত্র হলো ‘ইন্টারমোডালিটি’, যার অর্থ বিভিন্ন ধরনের যানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন৷ সেখানে নিজস্ব গাড়ির কোনো স্থান নেই, সেটা সম্পূর্ণ অপচয়৷’’
রাস্তাঘাট ভরে গেছে৷ বার্লিন শহরে প্রায় ১২ লক্ষ প্রাইভেট গাড়ি চলে৷ প্রতি বছর কয়েক হাজার নতুন গাড়ি যোগ হয়৷ শব্দ-দূষণ, যানজট, বায়ু-দূষণ – এ সবের কারণে বিশেষজ্ঞরা বিকল্প ব্যবস্থার ডাক দিচ্ছেন৷ যেমন স্টার্ট-আপ কোম্পানি হিসেবে ‘ক্লেভার শাটল’ একটি আইডিয়া বাজারে এনেছে৷ ইলেকট্রিক গাড়ি শেয়ার-ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে তারা৷
অ্যাপ-এর মাধ্যমে গাড়ি অর্ডার করা যায়৷ তারপর নির্দিষ্ট রুট স্থির করে বাকি আরোহীদের তুলে নেওয়া হয়৷ সাধারণ ট্যাক্সির মতোই ব্যবস্থা, তবে অনেক বেশি কার্যকর, ভাড়াও কম৷
ভবিষ্যতে এমন শেয়ার ট্যাক্সি গণ পরিবহণ ব্যবস্থার অঙ্গ হয়ে উঠতে পারে৷ সেগুলি নির্দিষ্ট লাইনের উপর চলবে, কিন্তু কোনো টাইমটেবিল ও নির্দিষ্ট স্টপ থাকবে না৷ স্মার্টফোনের মাধ্যমে অর্ডার দিলে নিজেই পথ চিনে গ্রাহকের কাছে চলে আসবে৷
ক্লাউডিয়া লাসসাক/এসবি