বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
৭ এপ্রিল ২০১২জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি মানুষকে সচেতন করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে প্রতি বছরের ৭ই এপিল জাতীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়৷ তার মানে, প্রত্যেক বছর ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবার বা উন্নয়নের কোনো একটি অধ্যায়কে নিয়ে কাজ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ সচেতনতা সৃষ্টি থেকে শুরু করে, সরকারি পর্যায়ে কিভাবে পরিবর্তন আনা যায় – এসব বিষয় তুলে ধরে আমাদের সামনে৷
এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘বয়স বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য: সুস্বাস্থ্য আয়ু বাড়ায়'৷ অর্থাৎ, সারা জীবন যদি কেউ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, তাহলে তাদের আয়ুও অন্যদের তুলনায় বেশি হবে৷ আর এ ব্যাপারেই জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চায় ডাব্লিউএইচও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
বলা বাহুল্য, জন্মের পর থেকে একটি একটি দিন করে আমাদের বয়স বাড়ে৷ শৈশব থেকে কৈশর, তারুণ্য থেকে প্রৌঢ়ত্ব, আর তারপর বার্দ্ধক্য৷ একে অস্বীকার করা যেমন যায় না, তেমনি ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে শরীরকে সুস্থ রাখারও কোনো বিকল্প নেই৷ তাই নিজের দেখাশোনা, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া, মনের সঙ্গে শরীরের দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি৷ আর এটা শুধু আমার বা আপনার জন্য নয়, বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্যই একান্ত কর্তব্য৷
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদ আন্তজার্তিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য একটি সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়৷ তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তজার্তিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়৷ পরবর্তীতে, ১৯৪৮ সালের ৭ই এপিল, আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় আর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷
স্বাভাবিকভাবেই, চিকিৎসক, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ – সবার জন্যই এই দিবস৷ কেননা শুধুমাত্র এক অংশের সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়৷ এর জন্য প্রয়োজন সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করা৷ আর সেটাই করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন