1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-তে থাকার পূর্বশর্ত

১১ নভেম্বর ২০১৫

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ককে লেখা চিঠিতে চার দফা শর্ত দিয়েছেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেগুলিকে শক্ত হলেও, সম্ভব বলে মনে করেন৷

https://p.dw.com/p/1H3s3
Symbolbild David Cameron Europa EU
ছবি: picture alliance/empics

ক্যামেরন-এর দাবিগুলি হলো:

(১) ইউরোজোন বহির্ভূত দেশগুলির অধিকার রক্ষা;

(২) ইইউ-এর অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি;

(৩) জাতীয় সংসদগুলিকে আরো বেশি ক্ষমতা দেওয়া;

(৪) যারা যুক্তরাজ্যের নাগরিক নয়, তাদের সামাজিক সুযোগসুবিধা সীমিত করা৷

বিশেষভাবে বিতর্কিত হল ক্যামেরন-এর প্রস্তাব যে, ইইউ-এর অন্যান্য দেশ থেকে যারা যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হচ্ছেন, তারা প্রথম চার বছর কোনো ওয়েলফেয়ার বেনিফিটস পাবেন না৷ ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র এই প্রস্তাবকে ‘‘বিশেষভাবে সমস্যাকর'' বলে অভিহিত করেছেন৷ পোল্যান্ডের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে, ব্রিটেনের এই প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনকানুনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা৷

ক্যামেরন ২০১৭ সালের মধ্যে ব্রিটেনের ইইউ-তে থাকা কিংবা না থাকা নিয়ে গণভোট করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ সেই প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতেই ‘‘ডিয়ার ডোনাল্ড''-কে তাঁর এই চিঠি – এবং সেই সঙ্গে যুক্ত আশা যে, ব্রাসেলস-এর সঙ্গে নতুন সমঝোতায় আসা সম্ভব হবে এবং ব্রিটেন ইইউ-তে থাকতে পারবে৷ ক্যামেরনকে এই প্রথমবার বলতে শোনা গেছে যে, ইইউ-তে থাকা ব্রিটেনের নিরাপত্তার পক্ষেও জরুরি৷ অর্থাৎ ক্যামেরন দৃশ্যত ব্রিটেনের ইইউ-তে থাকার সপক্ষে৷ অপরদিকে তিনি এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তাঁর দাবিদাওয়া মেটানো না হলে তিনি ইইউ ছাড়ার পক্ষে অভিযান করতে পারেন৷ এই পরিস্থিতিতে বাদবাকি ইইউ দেশ কী মনে করে?

ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী অলি রেন এই মত প্রকাশ করেছেন যে, ব্রিটেনের সঙ্গে একটা আপোশে আসা সম্ভব, যদিও কয়েকটা দাবি ‘‘সমস্যাকর''৷ রেন এ-ও বলেন যে, বহির্বিশ্বে ইইউ-এর বক্তব্য আরো জোরালো করার জন্য ব্রিটেনের উপস্থিতি ‘‘অপরিহার্য''৷ ক্যামেরন যে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার শক্তিবৃদ্ধি ও ইইউ-এর যৌথ বাজার সুরক্ষার ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবি করেছেন, ফিনল্যান্ড তা সমর্থন করে, বলে তিনি জানান৷ রেন বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাস্তবিক সংস্কার প্রয়োজন৷ সেই কারণে অপরাপর সদস্যদেশও যুক্তরাজ্যের মনোভাবকে সমর্থন করে৷'' এই ধরনের আস্থা অথবা আশাবাদিতা টুইটারেও পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ যেমন ‘দ্য এনকোয়ারার' লিখেছে: ‘বাকি ২৭টি ইইউ দেশের আপত্তি করার কোনো কারণ দেখছি না৷ তারা সানন্দে সব ক'টি দাবি মেনে নেবে৷'

সতর্ক আশাবাদিতা অন্যত্রও চোখে পড়েছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল স্বয়ং বলেছেন যে, ক্যামেরনের দাবিদাওয়ার মধ্যে ‘‘কয়েকটি কঠিন'', বলে তাঁর মনে হয়েছে, ‘‘অন্যগুলি কম কঠিন''৷ সব মিলিয়ে আপোশ সম্ভব বলে তিনি ‘‘মোটামুটি আস্থা'' রাখেন৷ বিপদ দেখা দিয়েছে ক্যামেরনের স্বদেশে: সেখানে ইউরোনিন্দুকরা তাঁর চিঠি কিংবা বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন৷ বিশেষ করে ক্যামেরন যে অভিবাসীদের সামাজিক সুযোগসুবিধা সীমিত করার ক্ষেত্রে নরম হতে পারেন, এ আশঙ্কা অনেকের৷ যে কারণে ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস'-এর শীর্ষক হলো: ‘‘ক্যামেরন ইইউ অভিবাসীদের জন্য সামাজিক ভাতা প্রাপ্তি সংক্রান্ত বেড়ার ক্ষেত্রে নতিস্বীকার করলেন''৷ রিচার্ড মার্ফির টুইটে যা হয়ে দাঁড়িয়েছে: ‘‘এই প্রশ্নে হার মানতে ঘণ্টা তিনেকের বেশি সময় লাগেনি...৷''

ক্যামেরন আপাতত এমন একজন অতিথির অপেক্ষায়, দশ বছর ধরে যাঁর ব্রিটেনে ঢোকাই নিষেধ ছিল৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হয় গুজরাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে৷ সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় মাত্র তিন বছর আগে৷ এবার মোদী আসছেন তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেনে, ওয়েম্বলে স্টেডিয়ামে বক্তৃতা দেবেন৷ তারই প্রাক্কালে শোনা গেল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের শুভ দীপাবলির বার্তা...৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য