1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাসেলসে ন্যাটোর বৈঠকে নতুন হুমকি নিয়ে আলোচনা

১৪ অক্টোবর ২০১০

ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন – যার মূল কথা ভবিষ্যতে নতুন হুমকিগুলোর মোকাবিলা করবে সে কীভাবে৷ ২৮টি দেশের এই প্রতিরক্ষা জোটের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা উপস্থিত এই বৈঠকে৷

https://p.dw.com/p/PeDT
ন্যাটোর প্রধান আন্ডার্স ফঘ রাসমুসেনছবি: AP

ন্যাটোর প্রধান আন্ডার্স ফঘ রাসমুসেন বৈঠক শুরু হবার মুখেই জানিয়ে দেন যে বিভিন্ন বৈরী দেশ থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল অর্থাৎ কিনা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি রয়েছে৷ আর সে হুমকি প্রতিহত করতে ন্যাটো জোটকে আরও আধুনিক এক বাহিনী গড়ে তুলতে হবে৷ বিশেষ করে ইউরোপের জন্য রাখতে হবে এক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসী বর্ম৷ রাসমুসেন উল্লেখ করেছেন, এই হুমকিটা স্পষ্ট৷ আর এই আধুনিক এই হুমকির মুখে প্রতিরক্ষার এক আধুনিক ব্যবস্থা চাই৷ ইউরোপের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসী যে পরিকল্পনা রয়েছে সেটাকে অনুমোদন করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি সদস্য দেশগুলোকে৷

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থেয়োডর সু গুটেনবার্গ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে দুজনেই তো উপস্থিত ব্রাসেলস বৈঠকে৷ জার্মানির পক্ষ থেকে তাঁরা দুজনেই ইউরোপের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসী বর্ম গড়ে তোলার পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন৷ এবং একই সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ওপরও জোর দিয়েছেন৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুটেনব্যার্গ বলেন, এই বর্মের ধারণাটি ভাল৷ তিনি মনে করেন, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো এক অভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসী বর্ম গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হবার খুব কাছাকাছি এসে পৌঁছেছেন৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে জোর দিয়ে বলেন, ন্যাটো তার সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে রাশিয়াকেও যুক্ত করতে আগ্রহী৷ এটাকে এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে তিনি মনে করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, বাস্তববাদী মনোভাব আর উত্তেজনা প্রশমিত হবার সংকেত মিলছে৷'' জার্মানি থেকে ন্যাটোর বাকি পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলো সরিয়ে নেয়ার যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন একসময় ভেস্টারভেলে সেটা অবশ্য এখন কার্যকর হচ্ছেনা৷

এবারকার ব্রাসেলস বৈঠকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ রূপরেখাটা তৈরি হবার কথা৷ ফ্রান্স কিছুটা কিন্তু কিন্তু করছে৷ এতে কত খরচ পড়বে, কীভাবে এই বর্ম ব্যবস্থা কাজ করবে, সে সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চায় ফ্রান্স৷ ন্যাটো প্রধান অবশ্য খরচের ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে সচেষ্ট৷ তিনি মনে করেন, ব্যয়ভার আয়ত্বের মধ্যে থাকবে৷ ন্যাটোর নতুন কৌশলী ধারণা সিদ্ধান্তের মুখ দেখবে নভেম্বরের মাঝামাঝি লিসবনে অনুষ্ঠেয় জোটের শীর্ষ বৈঠকে৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন