ব্রাসেলসে ‘নারী সনদ’ ঘোষণা
২৬ মার্চ ২০১০এই নারী সনদ শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বে নারীদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে মানুয়েল বারোসো ইউরোপীয় কমিশনে নারীর অধিকারকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সংস্থায় শীর্ষ স্থানে মহিলাদের অধিষ্ঠিত করার ওপর জোর দেন তিনি৷ বর্তমানে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ জন কমিশনারের মধ্যে মাত্র ৯ জন মহিলা কমিশনার হিসেবে কাজ করছেন৷
ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিভিয়ান রেডিং-এর সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বারোসো জানান, ‘‘সনদের কার্যকাল আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত৷ এই সময়ের মধ্যে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতিকে মূল লক্ষ্য হিসেবে স্থির করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই অগ্রগতি শুধু ইউরোপে নয়, ইউরোপের বাইরেও ছড়িয়ে দেয়া হবে৷''
ভিভিয়ান রেডিং সাংবাদিকদের জানান, ‘‘নারীর অধিকার এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে বিশেষ এই সনদ আপনাদের সামনে উপস্থিত করছে একজন পুরুষ এবং একজন নারী৷ এ কথা সত্যি যে, নারী অধিকার নিশ্চিত করতে পুরুষের সহযোগিতা এবং সমর্থন কাম্য, প্রয়োজনীয়৷'' ভিভিয়ান রেডিং ইউরোপীয় কমিশনের নীতি এবং মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক দেখাশোনা করেন৷
সনদ প্রসঙ্গে বারোসো আরো বলেন, ‘‘ এই সনদের মূল লক্ষ্য হল নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা৷ একই কাজের জন্য নারী-পুরুষের পারিশ্রমিক একই হবে - তা নিশ্চিত করা৷ যে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ স্থানে একজন পুরুষের পাশাপাশি যেন একজন মহিলাও থাকতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া৷ কর্মস্থলে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করা৷ শুধু ইউরোপ নয় ইউরোপের বাইরের দেশগুলোকেও এসব করতে উদ্বুদ্ধ করা৷ ''
ভিভিয়ান রেডিং জানান, আগামী পাঁচ বছর এই সনদের মূল বিষয়বস্তুর আইনগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবে ইউরোপীয় কমিশন৷
প্রতিবেদক: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদক: আবদুল্লাহ আল-ফারূক