ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃত ৯০, প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ব্রাজিল। মৃত ৯০ জন। শতাধিক নিখোঁজ। বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়
৮৮ হাজার মানুষ ঘর ছাড়লেন
দক্ষিণ ব্রাজিলের শহর পোর্তো অ্যালেগ্রে। এই শহরে ১৪ লাখ মানুষ বাস করেন। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া এই শহর থেকে ৮৮ হজার মানুষ ঘর ছাড়তে বধ্য হয়েছেন। ১০৩ জন নিখোঁজ। সরকারি হিসাবে শুধু এই শহরে মারা গেছেন ৭৫ জন।
কেন এই বন্যা?
কয়েকদিন ধরে সমানে বৃষ্টি হয়। পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর জল প্রচণ্ড বেড়ে যায়। তা ঢুকে যায় শহরের ভিতরে। কাদাস্রোত বইতে থাকে। মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হন।
ভয়ংকর বন্যার কবলে
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জলস্তর উঠে গিয়েছিল প্রায় সাড়ে সতেরো ফিট। যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই বন্যা। এর আগে ১৯৪১ সালে ভয়ংকর বন্যা হয়। তখনো এতটা জল বাড়েনি।
জলের তলায়
বন্যার জলের তলায় চলে গেছে বহু বাড়ি। অনেক বাড়ির কেবল মাথাটুকু দেখা যাচ্ছে। এরকম দৃশ্য শহরবাসী আগে দেখেননি। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন তারা।
কাদায় গাড়ি
পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরের দৃশ্য। একের পর এক গাড়ি কাদাস্রোতে আটকে আছে। প্রচুর গাড়ি ভেসে গেছে।
ক্ষয়ক্ষতি কত হলো?
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের পক্ষে এখনই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা সম্ভব নয়। তারা এখন দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাইছেন। তাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছেন।
অনেক জায়গায় যাওয়া যাচ্ছে না
উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, ভয়াবহ বন্যার ফলে শহরের অনেক এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না। পোর্তো অ্যালেগ্রে থেকে অনেক মানুষ চলে যেতে চাইছেন। কিন্তু বিমান বন্ধ, বাস চলাচল করছে না। ফলে তারা যেতে পারেননি। অনেককে দুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উপরের ছবিতে হেলিকপ্টার করে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে্।
বন্যা দেখলেন লুলা
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এই অবস্থা হয়েছে। রোববার তিনি মন্ত্রীদের নিয়ে দুর্গত এলাকায় গেছিলেন। তারা সরকারি কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার ও ত্রাণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।