তারা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্র শিবির ও জাতীয় ছাত্রসমাজ - এই দুটি ছাত্র সংগঠন কোনো কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না৷
চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেসময় শিবিরের তখন বেশ দাপট ছিল৷ প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদের রগকাটার বেশ কিছু ঘটনার জন্য তখন ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করা হচ্ছিল৷ সেসব ঘটনার কথা বলেই ঢাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন বলতে ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ (জাসদ), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন—এগুলো৷ হলে বা ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের জন্য এরা নিজেরা নিজেরা যে মারামারি করত না, তা কিন্তু নয়৷ মারামারি, গোলাগুলি, ককটেল ফাটানো - এসব নিয়মিত ঘটনাই ছিল৷ নিজেদের মধ্যে এত এত মতভেদ সত্ত্বেও শিবির নিষিদ্ধে তারা ছিল ঐক্যবদ্ধ৷
বিষয়টি তখনই আমার পছন্দ হয়নি৷ আমার বক্তব্য ছিল, কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ কিংবা বাতিল করার সিদ্ধান্তটি জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে৷ মানুষ যদি তাদের আদর্শ কিংবা কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখান করে, তবে সেটাই হবে তাদের জন্য নিষিদ্ধের নামান্তর৷ আমি তখন একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম৷ যারা আমার নেতা ছিলেন, কিংবা সহকর্মী, তাদের কাউকেই আমি বোঝাতে পারিনি যে এই সিদ্ধান্তটি সঠিক হচ্ছে না৷ কোনো একটি সংগঠনকে, তাদের মতাদর্শকে আমার পছন্দ না-ই হতে পারে, কিন্তু তাই বলে তাদেরকে কথা বলতে না দেওয়ার অধিকার আমাকে কেউ দেয়নি৷ আমার বিবেচনায় এই মনোভাবটিই আসলে স্বৈরাচারী৷
এরপর অনেক বছর কেটে গেছে৷ এবার আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা দৃশ্যত বহালই ছিল৷ শিবিরকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি৷ প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড করতে দেখা যায়নি বলে কি শিবির ছিল না? ছিল৷ বেশ দাপটের সঙ্গেই ছিল৷ এতটাই দাপটের সঙ্গে যে, হাসিনা সরকারের পতনের পর দেখা গেল, এই আন্দোলনে তাদের একটা বড় ভূমিকা ছিল৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি যখন ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলেন, তখন শিবির নেতারাও হাজির হলো৷ জানা গেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের কমিটি ছিল, তারা ভিন্ন পরিচয়ে ক্যাম্পাসে চলাচল করতো৷ কেউ কেউ তো আসল পরিচয় গোপন করে সরকারি দল ছাত্রলীগের নেতৃত্বেও ছিল৷ এ ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে, বাইরে থেকে সিদ্ধান্ত দিয়ে আসলে কোনো সংগঠনের কার্যক্রমকে বন্ধ করা যায় না৷ ক্ষমতার জোরে নিষিদ্ধ হয়ত করা যায়, কিন্তু নিশ্চিহ্ন করা যায় না৷
ছাত্রশিবিরকে এত বছর ধরে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যেরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে দেওয়া হয়নি, কিন্তু গোপনে তারা ঠিকই ছিল৷ কেবল ছিলই না, এতবড় একটা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রেখেছে৷
এখান থেকে কেউ কি শিক্ষা নিয়েছে? নেয়নি৷ আসলে কেউ শিক্ষা নেয় না৷ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ট্যাগ লাগিয়ে৷ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-পুতির কোটার মাধ্যমে যে বৈষম্য চলছিল, তারই প্রতিবাদে শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন৷ শুরুতে এই আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন বা পতনের কথা ছিল না৷ তারা হয়ত ভাবেওনি৷ কিন্তু হাসিনা সরকারের অহমিকা ও বেপরোয়া আচরণের কারণে ধীরে ধীরে এটা সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়৷ আন্দোলনের তোড়ে একসময় বিপুল ক্ষমতাধর স্বৈরাচারী হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে তার সরকার৷
হাসিনা সরকার পতনের পর গঠিত হয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷ এরই মধ্যে এই সরকারেরও তিন মাস হয়ে গেছে৷ যে কোটা বা বৈষম্যের বিরোধিতা করে তারা সরকারের দায়িত্ব নিয়েছে, তার কতটুকু প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ডে? এরই মধ্যে তারা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন'—এই তকমা লাগিয়ে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে৷ এই নিষিদ্ধ করতে গিয়ে তারা হাসিনা সরকারের একটি কালো আইনকেই ব্যবহার করেছে৷ এখন দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার নানা প্রচেষ্টা৷ শুরুর দিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কথাও শোনা গিয়েছিল৷ কিন্তু দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল বিএনপি যখন কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের বিপক্ষে বক্তব্য দিল, তখন এ দাবি কিছুটা থমকে গেল৷ তবে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে না দেওয়া, নিদেনপক্ষে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার দাবিটি এখনো সচল আছে৷
সেই সঙ্গে দেশব্যাপী চলছে কে কবে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগ করেছে, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে, আওয়ামী লীগের কোন নেতার সঙ্গে বসেছে বা হেঁটেছে, কে কোন মিছিলে অংশ নিয়েছে, এসবের অনুসন্ধান প্রচেষ্টা৷ এমন মানসিকতার নানাবিধ প্রয়োগ এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের গণরুমে থাকাকালীন ছাত্রলীগের মিছিলে গিয়েছিল, সেই অপরাধে ৪৩তম বিসিএসে চূড়ান্ত মনোনয়ন হওয়ার পরও অর্ধশতাধিক ছেলেমেয়েকে বাদ দেওয়ার ঘটনা মিডিয়াতে দেখলাম৷ এদের কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন৷ তারা জানান, পিএসসির চূড়ান্ত মনোনয়ন হওয়ার পর তারা যে চাকরিটি করতেন, সেটাও ছেড়ে দিয়েছেন৷ এখন একুল ওকুল হারিয়ে হতভম্ব হয়ে গেছেন৷ পুলিশে চাকরি পেয়ে ট্রেনিংয়ে ছিলেন, কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে নাকি তার একটা ছবি পাওয়া গেছে, অতএব কোনও একটা ছুতা দিয়ে আরও অনেকের সঙ্গে বিদায়৷
এই আন্দোলনের পর ছাত্র রাজনীতি নিয়ে একটা বিচিত্র দৃশ্য চোখে পড়ছে৷ সাধারণের মধ্যে থেকে একটা দাবি উঠেছিল ছাত্র রাজনীতি বন্ধের৷ আসলে সেই দাবির সময়েই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়৷ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলেও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো কিন্তু ঠিকই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে৷ তবে সবচেয়ে দাপটের সঙ্গে আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন৷ এরই মধ্যে এর আনুষ্ঠানিক কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে৷ অনেকে এই সংগঠনটিকে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সমর্থনপুষ্ট ছাত্র সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করছে৷ আগে যেমন আওয়ামী লীগের হয়ে ছাত্রলীগ নানাবিধ কর্মকাণ্ড করত, এখন অনেকটা সেরকম আচরণ করছে এই সংগঠনটি৷ তবে একটা বিষয় বেশ লক্ষণীয়, দেশের সবচেয়ে বড় ছাত্র সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বর্তমান ভূমিকার মধ্যে যথেষ্ট পরিমিতিবোধ দেখা যাচ্ছে৷ মাঝে মধ্যে এমনও মনে হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বুঝি ছাত্রদলকেও স্পেস দিতে চাচ্ছে না৷ মাঝে ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কিছু পোস্টার লাগিয়েছিল৷ সেটা নিয়েও নানা প্রতিবাদ মিছিল দেখা গেছে৷ সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে সেই প্রতিবাদ হলেও, তার পিছনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনই যে ছিল সেটা অনেকেই মনে করেন৷ তাদের এমন সব আচরণ মাঝেমধ্যে আগের ছাত্রলীগের কথাই মনে করিয়ে দেয়৷
ছাত্রদলের কর্মকাণ্ড নিয়ে এরকম আপত্তি থাকলেও ছাত্রশিবির কিন্তু এখন আগের যে-কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সক্রিয়৷ তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে কলেজে, এমনকি স্কুলে পর্যন্ত হানা দিয়েছে৷ কদিন আগে ফেসবুকে আকাশ কবির নামে এক ব্যক্তির একটা স্ট্যাটাস দেখলাম৷ ভদ্রলোকের বাড়ি গাইবান্ধায়৷ সম্ভবত তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত৷ তিনি জানিয়েছেন, তার ছোটবোন ফারহানা কবির স্কুলে পড়ে, অষ্টম শ্রেণিতে৷ কদিন আগে গত ১২ নভেম্বর ওদের স্কুলে নাকি ইসলামি ছাত্রী সংস্থার কয়েকজন গিয়েছিল৷ তারা বিভিন্ন শ্রেণির বেশ কয়েকজন মেয়েকে ইসলামি ছাত্রী সংস্থার সদস্য করে নিয়েছে৷ এ সংক্রান্ত ফরমও পূরণ করিয়ে নিয়েছে৷ ফারহানা নিজেও কিছু না বুঝেই সেরকম একটা ফরম পূরণ করেছে৷ আকাশ কবির সেই ফরমের একটা ছবিও দিয়ে দিয়েছেন৷ ইসলামী ছাত্রীশক্তি আসলে ছাত্রশিবির বা জামায়াতের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট একটা সংগঠন৷ এভাবে ছাত্রশিবির বর্তমানে সবচেয়ে সক্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে৷ অন্যদেরকে নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হলেও শিবিরের সাংগঠনিক তৎপরতা এখন চলছে সবচেয়ে আরামদায়ক পদ্ধতিতে৷ আকাশ কবিরের সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসটির নিচের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে আমি নতুন একটা বিষয় উপলব্ধি করলাম৷ আকাশ নিজে ছাত্রীশক্তির আচরণ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেও কমেন্টে অনেকে আবার আকাশকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ তাদের মতে, ছাত্রীশক্তি খুবই ভালো একটি সংগঠন৷ আকাশ যদি তার বোনকে ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে দেয়, তাহলে তার বোন একজন আদর্শ নারীতে পরিণত হবে৷ ইত্যাদি ইত্যাদি৷
এবার আমার নিজের পেশার কথা একটু বলি৷ দেশের সাংবাদিকতার মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেছে অনেক আগেই৷ এ নিয়ে আমাদের হতাশা আর আফসোসের শেষ ছিল না৷ একদিকে আওয়ামীপন্থি, আর বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত পন্থি৷ এখন আওয়ামীপন্থিরা কোণঠাসা৷ বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত যে সকল জায়গায় আগে সাংবাদিক প্রতিনিধিরা ছিল, তার সবকটিতেই আওয়ামীপন্থিদের পরিবর্তে বিএনপির কিংবা জামায়াতপন্থিরা জায়গা করে নিয়েছে৷ এটা অবশ্য অবধারিতই ছিল৷ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, সেক্রেটারি পদে আগে আওয়ামীপন্থি যে দুজন ছিলেন, তাদের অপকর্মের শেষ ছিল না৷ সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা পালিয়েছিল৷ সেই সুযোগে তাদের পদ দখল করে নিয়েছে অন্যরা৷ কমিটির চরিত্র পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে৷ আর সেই সঙ্গে আগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনের সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে৷
সাংবাদিকতায় সবচেয়ে যে কাজটি মানুষের চোখে পড়েছে, সেটা হচ্ছে পাইকারি হারে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা৷ তিন দফায় এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে কিছু বাতিল হয়ত গ্রহণযোগ্য, কিন্তু অনেকেই এখনও সাংবাদিকতা পেশায় সক্রিয় আছেন৷ বাতিলের নামগুলো দেখলেই বোঝা যায়, এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনীতিটাই কারণ হিসাবে কাজ করেছে৷
সবমিলিয়ে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডে একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা দেশকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শূন্য করার চেষ্টায় খুবই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন৷ এক্ষেত্রে তারা বেশ শ্রম ও সময় ব্যয় করছেন৷ আমার মতে এটা এই সরকারের খুবই অসম্ভব এবং অপ্রয়োজনীয় একটা প্রচেষ্টা৷ এই লেখার শুরুতে আমি যে অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলাম, বলেছিলাম, কেবল গায়ের জোরে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করা যায় না৷ এই সরকারের নামই হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷ নাম থেকেই বোঝা যায়, তত্ত্বগতভাবেই এই সরকার বেশিদিন থাকার জন্য আসেনি৷ এই অল্প সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ একটা দলের রাজনীতি নিশ্চিহ্ন করার কাজ যদি তারা হাতে নেয়, তাহলে সেটা যে তাদের জন্য কেবল অসম্ভবই হবে তা নয়, একইসঙ্গে হবে তাদের জন্য আত্মঘাতীও৷ একটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল হচ্ছে যে সরকার, মানুষ আশা করেছিল তাদের কাজ করবে একটা বৈষম্যহীন ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের লক্ষ্যে ৷ কিন্তু গত তিন মাসের ঘটনাবলী যেন ভিন্ন কিছু দেখাচ্ছে!