চ্যাম্পিয়নস লিগ
৩ অক্টোবর ২০১২বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ৩-১ গোলে পরাজয়ের পর বায়ার্নের খেলোয়াড়দের মুখের অভিব্যক্তি ভোলার নয়৷ কোচ ইয়ুপ হাইনকেস সহ সবার মুখ থমথমে, চোখে শূন্য দৃষ্টি৷ ফ্রাংক রিবেরি একটি গোল করেছেন, এটাই বায়ার্নের কাছে ক্ষীণ সান্ত্বনা মাত্র৷
এই পরাজয়ের ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগ তালিকায় গ্রুপ এফ'এ তৃতীয় স্থানে নেমে গেল এফসি বায়ার্ন৷ ছয় পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে বরিসভ, দ্বিতীয় স্থানে ভালেন্সিয়া৷
পর-পর ৯টি ম্যাচে জেতার পর কেন এল এমন বিপর্যয়? অবশ্যই চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে৷ বায়ার্নের প্রতিরক্ষা বলয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা গেছে, এমন সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ ফলে মাঠ দাপিয়ে বেড়ালেও সুবিধা করে উঠতে পারে নি মিউনিখের এই দল৷ অনেক খেলোয়াড় খোলামেলা নিজেদের সমালোচনা করেছেন৷ বলেছেন, যতটা সতর্কতার সঙ্গে খেলা উচিত ছিল, সেই মাত্রা সব সময় দেখা যায় নি৷ অথচ বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার ক'দিন আগে দলের ঐক্য নিয়ে বেশ বড়াই করেছিলেন৷ বলেছিলেন এটাই বায়ার্নের সাফল্যের আসল রহস্য৷ এমনকি জাতীয় দলেও এমন ঐক্য দেখা যায় না, এমন মন্তব্য করে কিছু সমালোচনাও কুড়িয়েছিলেন তিনি৷
তাছাড়া দলের অবস্থা সম্পর্কে কোচের আগাম সমালোচনা করেছিলেন স্পোর্টস ডিরেক্টর মাটিয়াস সামার৷ ইয়ুপ হাইনকেস সেই সমালোচনা মানতে প্রস্তুত নন৷ ফলে দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে৷ তবে ক্লাবের সভাপতি কার্লহাইনৎস রুমেনিগে সবাইকে শান্ত করতে মনে করিয়ে দেন পর পর ন'টি খেলায় জয়ের কথা৷
আপাতত সবার নজর আগামী শনিবার বায়ার্নের পরবর্তী ম্যাচের দিকে৷ হফেনহাইমের বিরুদ্ধে বুন্ডেসলিগা ম্যাচে জয়ের মুখ দেখলে হয়তো বেলারুশে পরাজয়ের গ্লানি কিছুটা কমে যাবে৷ কোচ হাইনকেস বলেছেন, এই ধাক্কা হয়তো আখেরে খেলোয়াড়দের আরও উজ্জীবিত করে তুলবে৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)