বুন্ডেসলিগা: লেভারকুজেন ড্র এবং রেকর্ড, একসঙ্গে দুই’ই করল
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০কোনো বুন্ডেসলিগা মরশুমের সূচনায় এ'ভাবে অপরাজিত থাকার আগের রেকর্ডটি ছিল বায়ার্নের, ১৯৮৮-৮৯'র মরশুমে৷ মজার কথা, সে' সময় বায়ার্নের কোচ ছিলেন ইয়ুপ হাইনকেস, যিনি আজ লেভারকুজেনের কোচ৷ এবং ৫০ পয়েন্ট তাঁবে নিয়ে লেভারকুজেন এখন তালিকার শীর্ষে এবং বায়ার্নের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে৷ বায়ার্ন মিউনিখ রবিবার খেলছে নিজেদের মাঠে হামবুর্গের বিরুদ্ধে৷ কাজেই লেভারকুজেন'কে হয়তো পয়েন্টের তালিকায় মাঝামাঝি কোলোনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার ফল ভুগতে হতে পারে৷ কোলোনের ফর্মও তো এর আগের সপ্তাহান্তেই প্রমাণিত হয়েছে, যখন কোলোন নিজেদের মাঠে স্টুটগার্টের কাছে হারে ৫-১ গোলে৷ শনিবারও কোলোনকে বাঁচিয়ে দিয়েছে বস্তুত অভিজ্ঞ কলোম্বিয়ান গোলরক্ষক ফরিদ মন্দ্রাগন, ১৩ মিনিটের মাথায় বিপক্ষের সানি হিপিয়া'র করা হেডটি গোললাইন থেকে ছিনিয়ে নিয়ে; এবং দ্বিতীয়ার্ধের সূচনায় রেনাটো অগাস্টো'র একটি দুর্দান্ত শট প্রতিহত করে৷
এছাড়া শনিবারের অন্যান্য ফলাফল ছিল: ভের্ডার ব্রেমেন ১০ জন প্লেয়ার সম্বলিত মাইঞ্জ'কে হারায় ২-১ গোলে৷ ১৪ মিনিটের মাথায় মাইঞ্জের মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান হেলার ব্রেমেনের এ্যারন হান্টকে মাটিতে ফেলে দেবার পর আবার পদাঘাতের ভঙ্গি করে, যার ফলে রেফারির লাল কার্ড বার করতে বেশী সময় লাগেনি৷ ৩১ মিনিটের মাথায় ব্রেমেনের টিম বোরোভস্কি'র একটি ঝোলানো ফ্রি-কিক মাইঞ্জের গোলরক্ষক হাইঞ্জ মুলার'কে কিছুটা বেকায়দায় ফেলেই গোলে ঢুকে যায়৷ হাফটাইমের আগে মাইঞ্জের এ্যারিস্টিড বঁস ২৫ গজ থেকে একটি কামানের গোলার মতো শট দিয়ে সে গোল পরিশোধ করেন৷ কিন্তু বিরতির পাঁচ মিনিট পরেই ব্রেমেনের বিকল্প খেলোয়াড় সেবাস্টিয়ান ব্রোয়েডেল বাঁ পায়ের শটে স্কোর দাঁড় করান ২-১৷
স্টুটগার্টও নিজেদের মাঠে ফ্রাঙ্কফুর্ট'কে হারায় ২-১ গোলে৷ ম্যাচ জেতার কারণ সেই কাকাও৷ ব্রেজিলে জন্ম, আজ জার্মান জাতীয় একাদশের খেলোয়াড় কাকাও এই নিয়ে স্টুটগার্টের শেষ তিনটি ম্যাচে সাতটি গোল করল৷ গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রাক-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় বার্সেলোনার বিরুদ্ধে স্টুটগার্টে প্রথম লেগে স্টুটগার্টের হয়ে গোলটি কাকাও-এর৷ তার আগের সপ্তাহান্তে কোলোন'কে ৫-১ গোলে হারানোর পিছনে কাকাও-এর অবদান ছিল চারটি গোল৷ আর এই শনিবার হাফটাইমের ঠিক আগে পর পর দু'টি গোল করল কাকাও৷ এ' যেন জার্মানির মাঠে ব্রেজিলের ম্যাজিক৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক