1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগা: ভোলফসবুর্গ তালিকার শীর্ষেই থাকল

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী১২ এপ্রিল ২০০৯

এবং বায়ার্নের মুখরক্ষা হল৷ তবে হের্থা এবং হফেনহাইমকে আবার হোঁচট খেতে হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/HV88
বায়ার্নের হয়ে গোল দেবার পর লুসিওছবি: AP

মিডফিল্ডার সাশা রিথার দেরীতে গোল না করলে ভোলফসবুর্গকে মোয়েনশেনগ্লাডবাখের বিরুদ্ধে তিনটি পয়েন্ট না জিতে একটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতো৷ এবং সেক্ষেত্রে কোচ ফেলিক্স মাগাথ ঐ ২-১ ফলাফলে বড় গলা করে টীমের মনোবলের কথা বলতে পারতেন না৷ তবে বাস্তব এই, যে আর সাতটা খেলা বাকি থাকতে ভোলফসবুর্গ ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে এবং দ্বিতীয় বায়ার্ন মিউনিখ থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে৷ এবং বস্তুতঃ অতি নম্র এবং মৃদুভাষী মাগাথ, যিনি কখনোই দলের হয়ে কোনো উচ্চাশা প্রকাশ করেন না, তাঁকেও হয়তো এবার ভাবতে হচ্ছে, যে তাঁর দল সত্যিই ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে কিনা৷ কেননা ভোলফসবুর্গ এর আগে কখনো বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হয়নি৷

বায়ার্নের আপত্তি

একে তো বায়ার্ন বার্সেলোনায় ৪-০ গোলে হারার আগে তার চেয়ে অনেক বড় একটা শক খেয়েছে ঐ ভোলফসবুর্গের কাছে ৫-১ গোলে হেরে৷ কেননা আজ বিশ্বের সেরা ক্লাব টীম বার্সেলোনার কাছে হারায় কোনো লজ্জা নেই, কিন্তু বুন্ডেসলিগার বহুকালের একছত্র অধিপতি বায়ার্নের এ’ভাবে ভোলফসবুর্গের কাছে নাকানি-চোবানি খাওয়াটা একটা বিশেষ অঘটন৷

ক্যাম্প নু’তে পরাজয়ের পর বায়ার্ন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানের নিজের পজিশনটি বাঁচানোর একমাত্র পথ এবং পন্থা হল, বায়ার্নকে কম করে হলেও, বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন করা৷ এক কথায়, বায়ার্ন এবার ক্ষেপে রয়েছে৷ এটা তাদের প্রেস্টিজের সওয়াল৷

প্রতিদ্বন্দ্বীদের অবস্থা

হের্থা বার্লিন হ্যানোভার ৯৬-এর কাছে খেলতে গিয়ে ২-০ গোলে হেরে এলো৷ স্বয়ং আন্দ্রি ভরোনিন খেলা শেষ হবার মুখে লাল কার্ড দেখলেন৷ আর মরশুমের প্রথমার্ধের চমক, রূপকথার রাজপুত্তুরের মতো উড়ে এসে জুড়ে বসা ক্লাব হফেনহাইম, যারা প্রথমবার ফার্স্ট ডিভিশনে উঠেই তুলকালাম করেছে, ‘‘হৈমন্তী চ্যাম্পিয়ন’’ হয়েছে, তারা জানুয়ারি যাবৎ কোনো খেলায় জেতেনি, এই শনিবারেও নিজেদের মাঠে বোখুমের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে৷ সে’ও আবার বোখুমের স্লোভাকীয় ফরোয়ার্ড স্টানিসুয়াভ সেস্টাকের হ্যাটট্রিকে৷ ওদিকে হফেনহাইমের কার্লোস এডুয়ার্ডো এবং গোলকীপার ডানিয়েল হাস পরষ্পরের দু’মিনিটের মধ্যে ফাউল করে লাল কার্ড দেখার পরে হফেনহাইমকে শেষমেষ ন’জন প্লেয়ার নিয়ে খেলতে হয়েছে৷

আর বেচারা কার্লসরুহে শালকের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে৷ কিন্তু কটবুস আর্মিনিয়া বিলেফেল্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে এখন বুন্ডেসলিগায় টিঁকে যাবার স্বপ্ন দেখতে পারে৷ সেক্ষেত্রে কোচ ক্রিস্টফ ডাউমের কোলোন এমন উঠতির মুখে ডর্টমুন্ডের কাছে ৩-১ গোলে না হারলেও পারতো৷ ডাউম তো ইতিমধ্যেই আবার রেলিগেশনের লড়াই-এর কথা বলছেন৷