1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগা: বায়ার্ন হোঁচট খেলো হামবুর্গের কাছে

২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯

বায়ার্নের উঠতি তারকা শনিবার হামবুর্গে যেন আবার ধাক্কা খেয়ে কিছুটা নীচে নেমে গেল৷ ওদিকে হামবুর্গ পয়েন্টের তালিকার শীর্ষেই থাকল৷

https://p.dw.com/p/JpmI
গোল করার পরে সে’ রবোর্তোর কাছে ধন্যবাদ জানাচ্ছে ম্লাদেন পেত্রিচ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)ছবি: AP

এক হিসেবে এটাকে উত্তর-দক্ষিণের পাঞ্জা বলা চলে, কেননা হামবুর্গ জার্মানির একেবারে উত্তরে এবং মিউনিখ একেবারে দক্ষিণে৷ ওদিকে কোচ ব্রুনো লাবাডিয়ার হামবুর্গ গত বুধবার জার্মান কাপের খেলায় দীন-হীন অসনাব্রুকের কাছে আটকে যাওয়ার পর বায়ার্নের বিরুদ্ধে তাদের যে কি ফর্ম বা মুড থাকবে, তা আন্দাজ করা শক্ত ছিল৷ সে তুলনায় বায়ার্ন তাদের নতুন ওলন্দাজ কোচ লুই ফ্যান গালের কড়া শৃঙ্খলায় ধীরে ধীরে আবার চিরপরিচিত বায়ার্ন হয়ে উঠছিল, পর পর পাঁচটি খেলায় জিতে৷ গতকাল তাদের ফরাসি জাদুকর ফ্রাঙ্ক রিবেরিও গোড়া থেকে মাঠে ছিল, সদ্য আনা ওলন্দাজ ফরোয়ার্ড আরিয়েন রবেনের সঙ্গে যার অতি ভালো মেলে৷ এমনকি জার্মান জাতীয় একাদশের দুই ফরোয়ার্ড মিরোস্লাভ ক্লোজে এবং থমাস গোমেজ’কে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে ইভিচা ওলিচকে মাঠে নামানোর চান্সও নিয়েছিলেন ফ্যান গাল৷ অর্থাৎ বায়ার্ন জিতবে জেনে এবং ভেবেই হামবুর্গ এ্যারেনাতে নেমেছিল৷

বায়ার্নের অস্ত্রেই

এবং বলতে কি, বায়ার্ন প্রথমার্ধে তো বটেই, দ্বিতীয়ার্ধেও ভালো এবং জান দিয়ে খেলেছে৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রাক্তন বায়ার্ন খেলোয়াড় সে’ রবার্তোই হামবুর্গের খেলার প্রাণশক্তি হয়ে দাঁড়ায়, এবং তারই দেওয়া বলে ৭২ মিনিটের মাথায় খেলার একমাত্র গোলটি করে ফরোয়ার্ড ম্লাদেন পেত্রিচ৷ - পরে ফ্যান গাল মুখ শক্ত করে বলেছেন, ‘‘সুযোগ তো অনেক পাওয়া গেছিল৷ কিন্তু গোল না করলে হারতে হয়৷’’ সাধে কি আর বায়ার্ন এখন ১১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে৷

ডার্বি

ওদিকে আরেক ঝানু কোচ ইয়ুপ হাইনকেসের তত্ত্বাবধানে বায়ার লেভারকুজেন যে ধীরে ধীরে চ্যাম্পিয়নশিপের ক্যান্ডিডেট হয়ে উঠছে, সেটা বোধহয় এতোদিনে সকলের নজরে পড়েছে৷ হাইনকেসের ফুটবল দর্শন অতি সোজা: ডিফেন্স হল খেতাব জয়ের গোপন কথা৷ কোলোনের বিরুদ্ধে লেভারকুজেনের খেলা মানে পাড়াপড়শিদের মধ্যে কাজিয়া, বুন্ডেসলিগায় এটা ছিল যার ৪৯তম সংস্করণ৷ চলতি কথায় বলে ‘রাইন ডার্বি’৷ সেই ডার্বিতে কোলোনকে ১-০ গোলে হারাল লেভারকুজেন, ক্যাপটেন সিমন রলফেসের গোলে৷ এবং হামবুর্গের মতো ঐ ১৭ পয়েন্ট নিয়েই লেভারকুজেন এখন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে৷

এর পর আসছে যাকে বলা হয় কিনা রুর নদীর কয়লাখনি এলাকার ডার্বি, শালকে আর ডর্টমুন্ডের মধ্যে - যেহেতু দু’টি শহরই ঐ এলাকার৷ গত মরশুমের চ্যাম্পিয়ন কোচ ফেলিক্স মাগাথকে পেয়ে শালকে’কে এখন চেনাই যাচ্ছে না: শনিবারও ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছে ১-০ গোলে৷ ভের্ডার ব্রেমেন সদ্য ফার্স্ট ডিভিশনে ওঠা মাইনজ’কে ৩-০ গোলে নস্যাৎ করে দিয়েছে৷ তথাকথিত উত্তরের ডার্বিতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভোলফসবুর্গ হ্যানোভারকে হারিয়েছে ৪-২ গোলে৷ আর ফ্রাঙ্কফুর্ট হেরেছে স্টুটগার্টের কাছে ৩-০ গোলে - যদিও সেটাকে ‘হেসে’ আর ‘সোয়াবে’-দের মধ্যে ডার্বি বলার কথা কেউ ভাবছে না৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই