বুন্ডেসলিগা: বায়ার্ন গ্লাডবাখে অকারণে ড্র করল
৭ নভেম্বর ২০১০শনিবার মোয়েনশেনগ্লাডবাখে খেলাটা গোড়া থেকেই অন্যদিকে মোড় নেয়৷ গ্লাডবাখের প্যাট্রিক হের্মান একটা ক্রস করতে গিয়ে বলটা যেন নিজের অজান্তেই বায়ার্ন গোলকীপার ইয়র্গ বুটের মাথার ওপর দিয়ে নেটে ঝুলিয়ে দেন৷ বুটেরও আন্দাজের ভুল ছিল৷
যাই হোক, বায়ার্নের ফায়াপপাওয়ারের তো কোনো কমতি নেই - যদিও ফ্রাঙ্ক রিবেরি এবং আরিয়েন রবেন, দু'জনেই আহত৷ ১১ মিনিটের মাথায় মারিও গোমেজ স্কোর আবার ১-১'এ দাঁড় করিয়ে দেন৷ গোমেজের গোলন্দাজি এখন রবিন হুডের তীরন্দাজির মতো চলেছে: বায়ার্নের বিগত ছ'টা ম্যাচে আটটা গোল করেছেন গোমেজ৷ গত বুধবার চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন৷
হাতে রইল গোলপোস্ট
প্রথমার্ধে খেলা ছিল পুরোপুরি বায়ার্নের হাতে৷ প্রথমে বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার এবং টোনি ক্রোস, দু'জনেই গোলপোস্টের ওপর চোট নেন৷ কিন্তু হাফটাইমের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে শোয়াইনস্টাইগার ডানিয়েল প্রানিচের একটি ক্রস স্রেফ গোড়ালি দিয়ে ঠেলে গোলে ঢুকিয়ে দেন৷ এর দু'মিনিট পরেই শোয়াইনস্টাইগার ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিতে পারতেন, কেননা গ্লাডবাখের সেবাস্টিয়ান শাখটেন বায়ার্নের হামিট আল্টিনটপকে পেনাল্টি এরিয়ায় ফাউল করার ফলে বায়ার্ন পেনাল্টি পায়৷ কিন্তু এবারও শোয়াইনি'র যতো চোটপাট ঐ গোলপোস্টের ওপর, এক একটা দিন যেমন হয়ে থাকে৷
ফ্যান গালের গোঁসা
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হবার পরে কি ঘটে, সে সম্পর্কে বায়ার্ন কোচ ফ্যান গাল বলেছেন: ‘‘আমরা একটা নিশ্চিৎ জয় মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি৷'' ঘটনাটা এই: গ্লাডবাখ ৫৫ এবং ৬০ মিনিটের মাথায় পর পর দু'টো গোল করে পাশা উল্টে দেয়৷ কাজেই বায়ার্ন ক্যাপ্টেন ফিলিপ লাম, যিনি ২০০টি বুন্ডেসলিগা ম্যাচ খেলে সেযাবৎ মাত্র ছ'টি গোল করেছেন, তাঁকে সক্রিয় হতে হয়৷ শেষ বাঁশির ছ' মিনিট বাকি থাকতে লাম করেন বুন্ডেসলিগায় তাঁর সপ্তম গোল, এবং বায়ার্ন ৩-৩ গোলে ড্র করে৷
শনিবারের অন্যান্য খেলাগুলোর ফলাফল: ফ্রাঙ্কফুর্ট বনাম ভোলফসবুর্গ ৩-১; মাইঞ্জ বনাম ফ্রাইবুর্গ ০-১; নুরেমবার্গ বনাম কোলোন ৩-১ এবং হামবুর্গ বনাম হফেনহাইম ২-১৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়