1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুন্ডেসলিগা: ডর্টমুন্ডের নবম জয় এবং স্টুটগার্টের লেমানের পাগলামো

১৪ ডিসেম্বর ২০০৯

রবিবার বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড ভোল্ফসবুর্গকে হারালো ৩-১ গোলে৷ কিন্তু গোলরক্ষক ইয়েন্স লেমানের এক সেকেন্ডের পাগলামোর জন্য স্টুটগার্টকে মাইঞ্জের বিরুদ্ধে নিশ্চিত জয়টা হাতছাড়া করতে হল৷

https://p.dw.com/p/L1cm
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৯-এর কনফেড কাপে ব্রেজিলের বিরুদ্ধে মিশরের ইকোয়ালাইজার ছিল এই মোহামেদ জিদানেরছবি: DPA

ডর্টমুন্ডের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ খুশী বললেও কম বলা হয়৷ তাঁর হলদে জার্সিরা এখন বুন্ডেসলিগায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো এগিয়ে চলেছে - এই নিয়ে নবম জয়৷ রবিবার ভোল্ফসবুর্গের বিরুদ্ধে লুকাস বারিয়োস প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই দু’টি গোল করে৷ অবশ্য দু’টি গোলের পিছনেই যে খেলোয়াড়টির মূল অবদান ছিল, সে হলো মোহামেদ জিদান - মিশরের খেলোয়াড়, কিংবদন্তী প্রতিম জিনেদিন জিদানের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই৷ তবে এই মোহামেদ জিদান যে ডর্টমুন্ডের একটি এ্যাসেট, সেটা শুধু কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপেরই জ্ঞাত নয়৷ ৩৭ মিনিটের মাথায় ডর্টমুন্ডের যে এ্যাকশন থেকে পাট্রিক ওভোমোয়েলা স্কোর ৩-০-এ দাঁড় করায়, তা’তেও জিদানের অবদান ছিল৷ ৫৫ মিনিটের মাথায় ভোল্ফসবুর্গের গ্রাফিত অন্তত একটি গোল শোধ করে৷ কিন্তু ততক্ষণে খেলার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে৷ কোচ আর্মিন ফে’র ভোল্ফসবুর্গ আপাতত ২৩ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে৷ অথচ এই দলই গত মরশুমে ফেলিক্স মাগাথের পরিচালনায় বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷

ফুটবলে মাথা গরম আর মাথা খারাপ একই কথা

স্টুটগার্ট বনাম মাইঞ্জ খেলাটি আগাগোড়া ঠিকই চলছিল৷ পাভেল পোগ্রেবনিয়াকের গোলে স্টুটগার্ট এক গোলে এগিয়ে ছিল৷ কিন্তু খেলার আর তিন মিনিট বাকি থাকতে গোলরক্ষক ইয়েন্স লেমানের মাথায় ভূত চাপে৷ হাতে বল নিয়ে, সম্পূর্ণ অকারণে তিনি বিপক্ষের স্ট্রাইকার আরিস্টিড বঁসের পা মাড়িয়ে দেন৷ ফলে লেমানকে লাল কার্ড, মাইঞ্জকে পেনাল্টি প্রদান এবং শেষমেষ খেলা ড্র৷ - অথচ স্টুটগার্ট গত বুধবার রোমানিয়ার উনিরিয়া উর্জিচেনিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের শেষ ১৬-য় পৌঁছয়৷ এবার মাইঞ্জের কাছে একটি পয়েন্ট খুইয়ে তারা পয়েন্টের তালিকায় শেষ থেকে চতুর্থ৷ জার্মানির প্রাক্তন জাতীয় গোলরক্ষক লেমানের তা’তে কিছু আসে যায় কিনা বলা শক্ত, কেননা লেমান ইতিমধ্যেই এর আগের কোচ মার্কুস বাবেলের বরখাস্ত নিয়ে ক্লাব কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে অর্থদণ্ড পেয়েছেন এবং সে অর্থদণ্ড দিতে অস্বীকারও করেছেন৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই