বিয়ের সুযোগ বাড়াতে যা করছেন ওঁরা
জাপানের অবিবাহিত পুরুষদের মধ্যে যাঁরা ভালো একজন জীবনসঙ্গী পেতে চান তাঁরা ‘ইকুমেন’ কোর্স করছেন, মানে সন্তান লালনপালন শিখছেন৷ উদ্দেশ্য, বিবাহযোগ্য হিসেবে নিজের যোগ্যতা বাড়ানো৷
সন্তান পালনের কোর্স
জাপানের ওসাকার ইকুমেন ইউনিভার্সিটি একদিনের একটি কোর্স চালু করেছে৷ সেখানে অবিবাহিত পুরুষদের সন্তান লালনপালনের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে৷ ৩৯০ ডলার খরচ করে সেই কোর্সে ভর্তি হচ্ছেন অবিবাহিতরা৷ অবশ্য বিবাহিত কিছু তরুণও মাঝেমধ্যে কোর্সে যোগ দেন৷
যা শেখানো হয়
বাচ্চাকে কীভাবে গোসল করাতে হবে, তারপর জামাকাপড় পরাতে হবে, সেসব শেখানো হয় কোর্সে৷ এছাড়া বাচ্চা পালন করতে গিয়ে নারীদের যেসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় সে সম্পর্কে পুরুষদের কিছুটা ধারণা দেয়া হয়৷ যেমন ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, অংশগ্রহণকারীদের সাত কেজি ওজনের একটি ‘গর্ভকালীন জ্যাকেট’ পরানো হয়েছে৷
দম্পতিদের মধ্যে যোগাযোগ
নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ আরও কীভাবে ভালো করা যায় সে ধারণা দেয়া হয় অংশগ্রহণকারীদের৷ এছাড়া নারীরা পুরুষদের কোন কোন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পছন্দ করে না, তার একটি তালিকাও তৈরি করতে বলা হয় তাঁদের৷
পুরুষ মানে কাজ, নারী মানে সন্তান পালন
জাপানি সমাজে এখনও প্রচলিত আছে যে, সন্তান পালনের কাজ স্ত্রীরাই করবে৷ সে দেশের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক হিসেব বলছে, ২০১৫ অর্থবছরে মাত্র ২.৬৫ শতাংশ পুরুষ কর্মী পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছে৷ অবশ্য ২০২০ সালের মধ্যে সংখ্যাটি ১৩ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার৷
বিয়েতে আগ্রহী নয়
সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, জাপানে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ৭০ শতাংশ পুরুষ ও ৬০ শতাংশ নারী অবিবাহিত৷
বিয়ের সংখ্যা বাড়াবে
কোর্সের প্রশিক্ষক তাকেশি আকিইয়ামা মনে করছেন, এই কোর্স তরুণ-তরুণীদের বিয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারে৷ কেননা মেয়েরা যখন জানবে পুরুষরাও সন্তান পালনে সহায়তা করবে তখন তাঁরা বিয়েতে আগ্রহী হয়ে উঠবে৷
পুরুষদের যোগ্যতা বাড়াবে
আকিইয়ামা বলেন, ঘটক সংস্থাগুলো পুরুষ অবিবাহিতদের অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে এই কোর্সে অংশগ্রহণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে৷