বিশ্বকাপে প্রেম ও ফুটবল
৪ এপ্রিল ২০১৪ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়ার খেলা দিয়ে বিশ্বকাপের সূচনা, লাভার্স ডে-তে৷ ওদিকে সেই শুভদিনের নাম ইতিমধ্যেই জনমানসে হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘‘সবুজ-হলুদ যৌন দিবস'': ওগুলো আবার ব্রাজিলের জাতীয় পতাকার রং কিনা! ব্রাজিলের অ্যাসোসিয়েশন অফ এরোটিক মার্কেট ফার্মস বা যৌন বাজার সমিতির তরফ থেকে বলা হয়েছে, টিভি-তে ফুটবল দেখতে দেখতে মানুষজন যেন ‘ভালোবাসার' কথাটা ভুলে না যান৷
সারা বিশ্বে ভ্যালেন্টাইনস ডে হলো ১৪ই ফেব্রুয়ারি৷ কিন্তু ব্রাজিলের যৌন শিল্প ১২ জুন তারিখটিকেই এ বছর স্মরণীয় করে তুলতে চাইছে৷ তাদের যে আশা, সরকারি তরফে ঠিক তাই আশঙ্কা৷ ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ কন্ডোম বিলি করে এইডস রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছে৷
অপরদিকে ব্রাজিল হলো দক্ষিণ অ্যামেরিকায় ‘সেক্স এইডস' বা যৌন খেলনার বৃহত্তম বাজার, বছরে বিক্রি প্রায় ৮৫ লাখ ডলার৷ বিশ্বকাপের কল্যাণে তাদের বিক্রিবাটা আরো এক কোটি ডলার বাড়বে বলে বিক্রেতাদের ধারণা৷ তবে বিশ্বকাপ যেমন একদিকে সারা বিশ্ব থেকে ফুটবলমোদীদের ব্রাজিলে নিয়ে আসবে, অন্যদিকে সেই অতিথি-অভ্যাগতরা তাদের শরীর কিংবা মনকে আনন্দদানের জন্য ফুটবল ছাড়া নড়তে চাইবেন না৷ তাই প্রেমিক-প্রেমিকাদের উষ্ণ সপ্তাহান্ত কাটানোর জন্য সৃষ্ট অনেক মোটেলের প্রতিটি কামরায় স্পোর্টস টিভি চ্যানেল রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ব্রাজিলের খেলা থাকলেই অফিস-কাছারি খালি এবং মোটেলগুলি ভর্তি, এই নাকি ব্রাজিলের ধারা৷ চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপের সময় ঠিক তা-ই হয়েছিল এবং এবারেও তা-ই হবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷
এক কথায়, খেলার প্রথম ও দ্বিতীয়ার্ধ, এমনকি এক্সট্রা টাইম শেষ হবার পরেও তার ‘তৃতীয়ার্ধ' চলবে মোটেলের ফেননিভ শয্যায়, এই হলো নাকি মোটেল-মালিক থেকে শুরু করে যৌন সহায়ক পণ্যের ব্যাপারীদের প্রত্যাশা৷
এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)