বিমানবালা থেকে থাইল্যান্ডের রানি!

অনেক দিন ধরেই সুথিদার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা চললেও কখনোই রাজপরিবার থেকে তা স্বীকার করা হয়নি৷ ২০১৯ সালের পহেলা মে হঠাৎ করেই করা হয় বিয়ের আয়োজন৷ রাজা ছাড়াও রাজার ঘনিষ্ঠজনেরা এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন৷

রাজকীয় গেজেটে ছবিসহ রাজার বিয়ের সংবাদ প্রচার করা হয়৷ এছাড়াও বিয়ের পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রচার করা হয় দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও৷ সাধারণ মানুষও রাজকীয় বিয়ের নানা ধরন দেখার সুযোগ পান৷

একসময় থাই এয়ারওয়েজের বিমানবালা ছিলেন সুথিদা৷ ২০১৪ সালে বজিরালংকর্ন তাঁকে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবাহিনীর উপপ্রধান পদে নিযুক্ত করেন৷ ২০১৬ সালে তাঁকে পূর্ণ জেনারেলের মর্যাদা দেয়া হয়৷ পাঁচ বছর পর সেই সাবেক বিমানবালাই হলেন থাইল্যান্ডের রানি৷

বিয়ের পর রাজ পরিবারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজা বাজিরালংকর্ন সুথিদাকে তাঁর রাজকীয় পরিবারে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে ধরে নেয়া হবে৷ রাজপরিবারের সব ধরনের মর্যাদাও ভোগ করবেন রানি সুথিদা৷

ব্রিটেনে যেমন রানি যে কাউকে নাইট উপাধি দিতে পারেন, থাইল্যান্ডের রাজাও যে-কোনো নারীকে থানপুয়িং উপাধি দিতে পারেন৷ রাজকীয় এই উপাধিকে ইংরেজিতে ‘স্যার’ বা ‘লেডি’-এর সমকক্ষ বলে ধরে নেয়া যায়৷

এর আগে থাই রাজা আরো তিনটি বিয়ে করেছিলেন৷ তবে সবার সঙ্গেই তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে৷ আগের স্ত্রীদের সঙ্গে সাত সন্তান রয়েছে রাজা বাজিরালংকর্নের৷

৬৬ বছর বয়সি রাজা বাজিরালংকর্ন আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা দশম রাম নামেও পরিচিত৷ ২০১৬ সলে বাবা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের মৃত্যুর পর থেকে বাজিরালংকর্ন সাংবিধানিক রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ রাজা ভূমিবল ৭০ বছর সিংহাসনে ছিলেন৷

২০১৯ সালের ৪ মে ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধ ধর্মমতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয় রাজা বাজিরালংকর্নের৷ অভিষেকের পর রাজা-রানি শামিল হন ব্যাংকক শহরে বিরাট এক শোভাযাত্রায়৷