নির্বাচন নিয়ে রিট
১৭ ডিসেম্বর ২০১৩এদিকে, যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন আইন অনুযায়ী ১৫৪ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা ছাড়া উপায় নেই৷ এর পরের নির্বাচনে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা হবে৷
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাইকোর্টে রিট আবেদনে বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা সংবিধানের বেশ কয়েকটি ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক৷ কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে জনগণ দ্বারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে৷ জনগণের ভোট ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবেন, তা সংবিধানে বলা নাই৷ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থী ইতিমধ্যেই সমঝোতার ভিত্তিতে একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন অন্যদের সঙ্গে সমঝোতা করে বিভিন্ন জায়গায় তারা একক প্রার্থী দিয়েছেন৷
রিটের আইনজীবী হাসান এম এস আজিম জানান, কাউকে নির্বাচিত হতে হলে অবশ্যই জনগণের সামনে আসতে হবে৷ তাই যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাদের জন্য হ্যাঁ/না ভোটের বিধান চাওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়েছে৷ আজিম করেন অবকাশ শেষ হলে রিটের শুনানি হবে৷ ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে৷
আইনজীবী আজিম জানান রিটে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারাকে সংবধিানের পরিপন্থি ঘোষণার জন্য রুল জারি এবং রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের গেজেট প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যার নির্বাচিত হবেন তাদের ব্যাপারে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজনের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে৷ এই রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে৷
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ, জানিপপ এর প্রধান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা চ্যালেঞ্জ করে যে রিট করা হয়েছে তা সময়ের দাবি৷ নির্বাচন কমিশনের অনেক আইনই পুরনো এবং মান্ধাতার আমলের৷ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের বিধানটি তাই বাতিল হওয়া উচিত৷ তিনি বলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের বিধান থাকলেও নির্বাচিতকে হ্যাঁ/না ভোটের মুখোমুখি করার বিধান থাকা প্রয়োজন৷ তিনি বলেন, এই রিট যদি খারিজও হয় এর গুরুত্ব খারিজ হবে না৷
এদিকে, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ আইন অনুযায়ী তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের আর কোনো উপায় নেই৷ তাই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আর কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই৷ ৫ জানুয়ারি এই নির্বাচন হবেই৷ তবে বিরোধী দলের সঙ্গে এর পরের নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা হতে পারে৷