বায়ার্নের হারযাত্রা আর মাইঞ্জের জয়যাত্রা অব্যাহত
৪ অক্টোবর ২০১০গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাজেলকে হারানোর পর বায়ার্ন কোচ লুইস ফান গাল বলেন যে এবার তার দল বুন্ডেসলিগাতেও ঘুরে দাঁড়াবে৷ কিন্তু সোমবার তার কোন লক্ষণ দেখা গেল না৷ বরং আরিয়েন রবেন এবং ফ্রাংক রিবেরির অনুপস্থিতিতে স্মরণকালের অন্যতম দুর্বল আক্রমণ নিয়ে খেলতে দেখা গেল বায়ার্ন মিউনিখকে৷ একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে সেটা প্রমাণ করে ছাড়লেন স্ট্রাইকার মারিও গোমেজ৷ বায়ার্নের সবগুলো আক্রমণই নষ্ট হয়েছে দুর্বল ফিনিশিংএর কারণে৷ শুরুর দিকে একবার এবং ৩৬ মিনিটের মাথায় আরেকবার গোলের সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বুন্ডেসলিগার অন্যতম ব্যয়বহুল খেলোয়াড় মারিও গোমেজ৷
অন্যদিকে বুরুসিয়া ডর্টমুন্ড দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগায়৷ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্যারাগুয়ের স্ট্রাইকার লুকাস বারিওস বায়ার্ন ডিফেন্ডার মার্টিন ডেমিসেলিসের ভুলে বল পেয়ে যান৷ তার শট জড়িয়ে যায় বায়ার্নের জালে৷ এরপর ৬০ মিনিটের মাথায় আবারও ডেমিসেলিসের কারণে ফ্রিকিক পায় ডর্টমুন্ড৷ তুর্কি মিডফিল্ডার নুরি সাহিন ২৫ মিটার দূর থেকে যে দুর্দান্ত ফ্রি কিকটি নেন তা বায়ার্ন গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোলে ঢুকে যায়৷ এই হারের ফলে লিগ টেবিলের ১২ নম্বরে এখন বায়ার্ন মিউনিখ৷ শীর্ষে থাকা মাইঞ্জের চেয়ে তারা এখন ১৩ পয়েন্ট পেছনে৷ এই ব্যবধান ঘুচাতে তারা পারবে কিনা সেটি এখন দেখার বিষয়৷ অন্যদিকে ডর্টমুন্ড সাত খেলায় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে৷
এদিকে সাত ম্যাচে সাতটিতেই জয় ছিনিয়ে নিল শীর্ষে থাকা মাইঞ্জ৷ রোববার তারা হফেনহাইমকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে৷ মাইঞ্জের পক্ষে সামি আলাগুই, সেজালালাই ও আন্দ্রে শুরলে গোল করেন৷ অন্য গোলটি আসে আত্মঘাতী৷ আর হফেনহাইমের পক্ষে ডেম্বা বা ও সিগুর্ডসন গোল করেন৷
অন্য ম্যাচে ফ্রাংকফুর্টের কাছে ২-১ গোলে হেরে স্টুটগার্ট এখন পয়েন্ট টেবিলে সবার নীচে৷ এই নিয়ে সাত খেলায় ছয়টিতেই হারলো তারা৷ তার ওপর রোববার ম্যাচের ৮৪ মিনিটে দলের অধিনায়ক ম্যাথিউ ডেলপিয়েরে লালকার্ড দেখেন৷ ফ্রাংকফুর্টের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ক্রিস একাই দুটি গোল করেন৷ প্রথম গোলটি করেন ১৮ মিনিটের মাথায়, হেড করে৷ পরে ৬৯ মিনিটের মাথায় আবারও হেড করে দ্বিতীয় গোলটি করেন ক্রিস৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম