1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ার্নকে হারিয়ে কাইজারসলাউটার্নের চমক

২৮ আগস্ট ২০১০

চলতি বুন্ডেসলিগার শুরুটা এর চেয়ে আর ভালো হতো না কাইজারসলাউটার্নের৷ প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কোলনকে ৩-১ এ হারিয়েছিল তারা৷ দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ এবার ধরা খেলো তাদের কাছে৷

https://p.dw.com/p/OyFR
FC Kaiserslautern gegen FC Bayern München
উল্লসিত কাইজারসলাউটার্নের খেলোয়াড়রাছবি: picture alliance/dpa

মাত্র এক মিনিটেই খেলা শেষ করে দেন কাইজারসলাউটার্নের ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার ইভো ইলিসেভিচ৷ প্রথমে নিজে দুর্দান্ত গোল করলেন, এরপর স্বদেশী স্রোডান লাকিচকে দিয়ে গোল করালেন৷ কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জন নিয়ে খেলেও কাইজারসলাউটার্ন বায়ার্ন মিউনিখকে কোন গোল করতে দেয়নি৷

এবার আসি বিস্তারিত৷ নিজেদের মাঠে গত মৌসুমের ১৭টি ম্যাচে মাত্র দুটিতে হেরেছে কাইজারসলাউটার্ন৷ তাই স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের সামনে তাদের মনোবল ছিল তুঙ্গে৷ খেলার ৩৬ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি আসে৷ ইলিসেভিচ গোলপোস্টের ২০ মিটার দূর থেকে যে দুর্দান্ত শটটি নেন তা শেষ মুহুর্তে বেঁকে জায়গা করে নেয় বায়ার্ন মিউনিখের জালে৷ এরপর সেন্টার থেকে আবারও খেলা শুরু হওয়া মাত্র বায়ার্নের পেনাল্টি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান সেই ইলিসেভিচ, পাস বাড়িয়ে দেন স্বদেশী লাকিচের দিকে৷ আবারও গোল, হতভম্ব পুরো বায়ার্ন মিউনিখ৷

FC Kaiserslautern gegen FC Bayern München
দুই দলের খেলোয়াড়দের বল দখলের লড়াইছবি: picture alliance/dpa

এরপর অবশ্য গোল শোধে চেপে ধরেছিল লুইস ফান গালের দল৷ তবে একের পর এক গোল মিসের মহড়া দিতে থাকেন স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোজে, ইভিচা ওলিচ ও টোনি ক্রুস৷ বিশেষ করে প্রথমার্ধের শুরুর দিকেই থমাস ম্যুলার নিশ্চিত একটি গোলের সুযোগ পেয়েও বলটি পোস্টের বাইরে মারেন৷

এদিকে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহুর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান কাইজারসলাউটার্নের ইলিসেভিচ৷ এরপরও দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জন নিয়ে তারা বায়ার্নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছে৷ খেলা শেষে বায়ার্ন কোচ ফান গাল বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত ভালো খেলেছি৷ তবে কাইজারসলাউটার্নের খেলোয়াড়রা আমাদের জায়গা দিয়েছে কম এবং নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলেছে৷ অন্যদিকে কাইজারসলাউটার্নের কোচ মার্কো ক্রুজ জানান, প্রথমার্ধে ম্যুলারের নিশ্চিত গোল মিসটিই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট৷ এরপর তাঁর খেলোয়াড়রা মরিয়া হয়ে ওঠে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক