বাস্তবের রাজপুত্তুর-রাজকন্যে
এই বছরের ১৯ মে বিয়ে করছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি এবং মার্কিন অভিনেত্রী মেঘান মার্কল৷ ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল৷ বলা হচ্ছে, এ নাকি এক নিয়মভাঙা বিয়ে৷
ব্লাইন্ড ডেট
২০১৬ সাল থেকে প্রিন্স হ্যারি এবং মেঘান মার্কলের প্রণয় সম্পর্ক৷ শোনা যায়, এক বন্ধুর মধ্যস্থতায় হ্যারি এবং মেঘান ব্লাইন্ড ডেটে গিয়েছিলেন৷ তারপর থেকেই সম্পর্ক ক্রমশ উষ্ণ হয়৷
গসিপ টসিপ
প্রথম ডেটের পর থেকেই দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া নানারকম গসিপ শুরু করে৷ বাধ্য হয়েই রাজ পরিবারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়৷ সেখানে মেঘানকে নিয়ে গণমাধ্যমের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করা হয়৷ তবে হ্যারি-মেঘান সম্পর্কের কথা মেঘানই প্রথম প্রকাশ্যে আনেন৷
রুপোলি মেঘান
২০০৪-’০৫ সাল নাগাদ অভিনয়ে আসেন মেঘান৷ কিন্তু প্রথমদিকে খুব বেশি ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি৷ বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজ ‘জেনারেল হসপিটাল-’এ খুবই ছোট একটি চরিত্রে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ৷ এরপর আরও কয়েকটি টেলি সিরিজে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান৷ তবে একটি মার্কিন গেম শো’য়ের পোস্টারে তাঁর ছবি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল৷ তাঁর নাম হয়ে যায় ‘ব্রিফকেস গার্ল’৷ এখনও পর্যন্ত ৩টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন৷
নিয়মভাঙার বিয়ে
আপাতত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় হলো, কোন কোন বিষয়ে রাজ পরিবারের ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রিন্স হ্যারি৷ বস্তুত, মেঘাল মার্কল মার্কিন এবং মিশ্র বর্ণের৷ তাঁর মা অ্যাফ্রো-অ্যামেরিকান৷ ব্রিটিশ রাজপরিবারে এমন রাজবধূর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷
ঐতিহাসিক দলিল
বছর পঞ্চাশেক আগে অষ্টম এডওয়ার্ড এক বিবাহবিচ্ছিন্না মার্কিন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন৷ সে কারণে সিংহাসনও ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে৷ মেঘানও বিবাহবিচ্ছিন্না৷ ২০১১ সালে এক প্রযোজককে বিয়ে করেছিলেন তিনি৷ ২০১৩ সালেই বিয়ে ভেঙে যায়৷
ইচ্ছে এবং ঐতিহ্য
মেঘান চান তাঁর মা ডোরিয়া রাগল্যান্ড তাঁকে হাত ধরে বিয়ের আসরে নিয়ে যাবেন৷ ব্রিটিশ রাজপরিবারের কোনও বিয়েতে এমন কখনও ঘটেনি৷ সাধারণত, বাবারাই মেয়েদের হাত ধরে নিয়ে আসেন৷
বিয়ে এবং অর্থনীতি
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিমন্ত্রণ থাকুক বা না-থাকুক, মে মাসের বিয়ে উপলক্ষে কয়েক লক্ষ ভ্রমণার্থী হাজির হবেন ব্রিটেনে৷ ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে গেছে৷ যেমনটা ভাবা হচ্ছে, তা যদি হয়, তাহলে শুধু এই বিয়ে উপলক্ষেই কয়েক লক্ষ পাউন্ড রোজগার করবে ব্রিটেন৷