বালিতে চলছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্মেলন
২৩ জুন ২০০৮পাঁচদিন ব্যাপী এ সম্মেলনে দেশগুলোর মধ্যে ক্ষতিকারক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হবে৷
ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী রাখমাট উইটোয়েলার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন৷ সম্মেলনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, ১৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনায় মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার ওপর বিভিন্ন ক্ষতিকারক বর্জ্য কিরকম প্রভাব ফেলে সে বিষয়টি প্রাধান্য পাবে৷
এ ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী রাখমাট উইটোয়েলার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একদেশ থেকে অন্য দেশে বিভিন্ন ক্ষতিকারক বর্জ্য চলে আসে যা মানুষের শরীরকে মারাত্মক ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়৷ দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নের মধ্যে সু সমন্নয়ের বিষয়টিই পরিবেশ রক্ষায় বেশী গুরুত্বপুর্ণ৷ সাগরগুলোতে যেভাবে অবৈধভাবে তেজস্ক্রিয় রাসায়নিক পদার্থ ফেলা হচ্ছে তাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসীমার দেশ ইন্দোনেশিয়া খুব ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে৷
ইন্দোনেশিয়ান মন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের সমুদ্রসীমায় বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য চলে এসে পরিবেশের প্রতি যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয় সুইজারল্যান্ডের বাজেল সম্মেলনে তা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো৷ সেখানে পরিবেশ রক্ষায় একটি কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি ছিল বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি৷
এবারের বালি সম্মেলনে বর্জ্য আমদানীর ওপর নিষেধাজ্ঞার বিভিন্ন আইনগত দিক আলোচিত হবে৷ এছাড়া বাজেল কনভেনশনের অবস্হান আরো শক্তিশালী করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং মানব স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর একটি বৈশ্বিক ফোরাম গড়ে তোলার বিষয়টিও স্থান পাবে বালিতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে৷
পাচদিন ব্যাপী এ সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন এক হাজারেরও বেশী পরিবেশবাদী৷ তারা রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াও মোবাইল ফোনের মত ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের বিষয়টি নিয়েও কি করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবেন৷
উল্লেখ্য ১৯৮০ সালে বাজেল কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়েছিলো যা কার্যকর হয় ১২ বছর পর৷ এতে মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক সকল বর্জ্য পদার্থ আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করার ঘোষনা দেয়া হয়৷ তবে মাত্র ৬২ টি সদস্য দেশ এ কনভেনশন অনুমোদন করে৷