বার্লিনে সমকামীদের বার্ষিক উৎসব
বাসিন্দাদের সহনশীলতার দিক থেকে বার্লিনকে বিশ্বের সেরা রাজধানীগুলোর একটি মনে করা হয়৷ সমকামীদের একটি বড় বৈচিত্র্য রয়েছে এখানে৷ আর তাই নিজেদের সহনশীলতা সবার সামনে তুলে ধরতে প্রাইড প্যারেডও হয় খুব জমজমাট৷
সহনশীলতার প্যারেড
গত মাসেই জার্মানিতে আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে সমকামী বিয়ে৷ ফলে প্যারেডের বড় একটা অংশ জুড়ে ছিল বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি৷ সহনশীলতা বাড়ানো এবং সব মতের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন বার্লিন ক্রিস্টোফার স্ট্রিট ডে’র আয়োজকরা৷
লেদার অ্যান্ড লেইস
অংশগ্রহণকারীদের সবাই অবশ্য শুধু বিয়ের পোশাক-আশাকে সীমাবদ্ধ থাকেননি৷ অনেকে আবার নিজেদের নানা ধরনের যৌন ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশও ঘটিয়েছেন নানা ধরনের পোশাকের মধ্য দিয়ে৷
রংধনুর সব রং
বার্লিনের বার্ষিক এই প্রাইড প্যারেড কয়েক মাইল লম্বা হয়৷ দূর-দূরান্ত থেকে অংশগ্রহণকারীরা রংবেরঙের সাজে সেজে এসে যোগ দেন প্যারেডে৷ ১৯৭৯ সাল থেকে বার্লিনে এই প্যারেডের আয়োজন করা হচ্ছে৷ প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে এর আকার৷
ভালোবাসার গ্রীষ্ম
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমকামী প্যারেডগুলোর একটি বার্লিন প্যারেড৷ ১০ লাখেরও বেশি মানুষ যোগ দেয় গ্রীষ্মের এই আয়োজনে৷ এই প্যারেড এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, আশেপাশের অনেক শহরও বার্লিনের আদলে প্যারেডের আয়োজন করা শুরু করেছে৷
নেতৃত্বে সমকামী রাজনীতিবিদরা
সব উৎসবেই একটা রাজনৈতিক বক্তব্যও থাকে৷ এ কারণে এই বার্ষিক আয়োজনে রাজনৈতিক নেতারাও নিয়মিত অংশ নেন৷ গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য ফল্কার বেক (ডানে) এবং ডির্ক বেরেনড্ট-ও (বামে) অংশ নেন এবারের প্যারেডে৷ সমকামীরাও এই সমাজেরই অংশ, প্যারেডে এই বার্তাই পৌঁছে দেন তাঁরা৷
দূরের এবং কাছের
জার্মানিতে যেখানে সমকামকে খুব স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখা হয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই সমকামীদের পড়তে হয় বড় ধরনের সমস্যায়৷ ভেনিজুয়েলা থেকে আসা এই অংশগ্রহণকারীরা সেজে এসেছেন তাদের নিজেদের ঐতিহ্যবাহী সাজে৷ এমন অনেকেই যোগ করছেন নতুন বৈচিত্র্য৷