সৌদি আরবের নতুন বাদশাহ সালমান
২৩ জানুয়ারি ২০১৫সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ৯০ বছর বয়সি আব্দুল্লাহ বিন আব্দুলআজিজ ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন৷ গত ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তখন থেকে সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সউদ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন৷
১৯৩২ সালে আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠার পর প্রথমে প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে সউদ এবং তাঁর মৃত্যুর পর থেকে তাঁর ছেলেরাই সৌদি আরবের বাদশাহ হচ্ছেন৷ ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত শাসন করেছেন বাদশাহ ইবনে সউদ৷ তাঁর কতজন সন্তান ছিল তা জানা যায়নি৷ তবে ৩৭ জনের নাম সরকারিভাবে জানানো হয়েছে৷ সদ্যপ্রয়াত বাদশাহ আব্দুল্লাহ ছিলেন তাঁর ১৩তম সন্তান৷
সরকারিভাবে ২০০৫ সাল থেকে বাদশাহর পূর্ণ দায়িত্ব পালন শুরু করলেও কার্যত আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ তাঁর পূর্বসূরি, অর্থাৎ সৎ ভাই বাদশাহ ফাহদ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ১৯৯৫ সাল থেকেই এ দায়িত্বে ছিলেন৷ সৌদি আরবে রাজতন্ত্র পরিহারের কোনো লক্ষণ নেই৷ মানবাধিকার পরিস্থিতি এখনো খুব খারাপ৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেখানে খুবই সীমিত৷ তবু সংবাদ মাধ্যমে এখন সরকারের কিছু সমালোচনা অন্তত করা যায়৷ এই পরিবর্তন বাদশা আব্দুল্লাহর শাসনামলেই হয়েছে৷ নারীর অনেক অধিকারই এখনো সে দেশে স্বীকৃত নয়৷ নারীকে এখনো গাড়ি চালানোর অনুমতিও দেয়া হয়না৷ তবে বাদশাহ আব্দুল্লাহ নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছেন৷ তাঁর শাসনামলেই (২০০৯) প্রতিষ্ঠিত হয় সৌদি আরবের প্রথম কো-এড বিশ্ববিদ্যালয়৷ তিনিই অন্যান্য আরব দেশের সম্মতি আদায় করে ইসরায়েলের সঙ্গে এক চূড়ান্ত ও সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ ইসরায়েল অবশ্য সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এসেছে৷
সরকারিভাবে বাদশাহর দায়িত্ব গ্রহণের পর সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সউদ জানিয়েছেন, বড় ভাই সদ্য প্রয়াত আব্দুল্লাহর দেখিয়ে যাওয়া পথ ধরেই তিনি সৌদি আরবকে এগিয়ে নেবেন৷ বাদশাহ সালমান এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন৷ শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় সালমানের ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে৷ সালমানের ষাটোর্ধ সৎভাই মুকরিনকে করা হয়েছে নতুন যুবরাজ৷
এসিবি এসবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)