1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাণিজ্য চুক্তির বয়ানে খুশি নয় লেবার পার্টি

২৫ ডিসেম্বর ২০২০

লেবার পার্টি জানিয়েছে, চুক্তি পছন্দ না হলেও তারা সমর্থন করছে। কারণ, সমর্থন না করলে কোনো চুক্তিই হতো না।

https://p.dw.com/p/3nCg4
বরিস জনসন
ছবি: Pippa Fowles/Xinhua/imago images

১৫০০ পাতার চুক্তি। যার এক হাজার পৃষ্ঠা কেবলই অ্যানেক্সাচার এবং ফুটনোট। দীর্ঘ আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে যে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, শুক্রবার তা ইউরোপের কূটনীতিকদের বোঝানোর কথা। বোঝাবেন, বাণিজ্য চুক্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফের মধ্যস্থতাকারী মিশেল বারনিয়ের। আগামী ৩১ তারিখ সরকারি ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। তারপরেই নতুন বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হবে।

নতুন বাণিজ্য চুক্তির খুঁটিনাটি বিষয়ে এখনো সব কিছু স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে বিষয়গুলি নিয়ে জটিলতা ছিল, তা কেটে গিয়েছে। মাছ ধরা সহ একাধিক বিষয়ে দ্বিমত ছিল যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-র মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সেই জটিলতা কেটেছে। তবে আপাতত সাময়িক কাজ চালানোর মতো করে বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করা হবে। নতুন বছরে তার স্থায়ী রূপায়ন হওয়ার কথা।

বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কি খুশি যুক্তরাজ্যের রাজনীতি?

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি বাণিজ্য চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যে চুক্তি হয়েছে, তা ভালো বলে তারা মনে করে না। চুক্তির মধ্যে একাধিক সমস্যা আছে। তা সত্ত্বেও তারা চুক্তিটিকে সমর্থন করছে কারণ, না হলে কোনো চুক্তিই হতো না। যা আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করত।

বস্তুত, শেষ কয়েক দিনে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে মনে হচ্ছিল, কোনো চুক্তি হওয়াই আর সম্ভব নয়। একাধিক বিষয় নিয়ে দুই তরফ কোনো মতানৈক্যে আসতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত সমাধানসূত্র মিলেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশ্য চুক্তিটি নিয়ে খুবই আশাবাদী। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ''দেশবাসীর জন্য একটি ছোট্ট উপহার আছে। এই চুক্তির সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারী, পর্যটক সহ সকলে।'' এরপরেই নিজের হাতে সকলকে চুক্তির ফাইল দেখান তিনি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)