1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাজেট ঘাটতি রুখতে সামাজিক সুযোগসুবিধায় কাটছাঁট করবে জার্মানি

৬ জুন ২০১০

সরকারের ঘরে টাকা কমছে৷ চাই বেশি রাজস্ব৷ চাই বাজেট ঘাটতির পূরণ৷ অতএব জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকার সম্ভবত সামাজিক সুযোগ সুবিধার সোনালি সরণি এবার আরও সঙ্কীর্ণ করে দেবে৷ অবশ্য আগে হবে বৈঠক৷ চলবে দুইদিন৷

https://p.dw.com/p/NjOP
ছবি: AP

ঘাটতি বাজেট৷ আর্থিক মন্দায় মন্দাক্রান্ত এই দুনিয়ায় যে কোন সরকারের মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ এটাই৷ সেই ব্যথার দাওয়াই খুঁজতে এবার মরিয়া বার্লিন৷ কারণ, একটু আধটু নয়, ১২০ বিলিয়ন ইউরোর ঘাটতি রয়েছে সরকারের কোষাগারে৷ তাই ব্যয়সংকোচ আগে দরকার৷ সেই সংকোচের প্রথম পথের নাম হল উদার সামাজিক সুযোগসুবিধায় কাঁচি চালানো৷ ইউরোপ কেন, বিশ্ব জুড়ে জার্মান সমাজের এই উদার সামাজিক সুযোগ সুবিধার কথা সুবিদিত৷ এবার তাতেই কোপ পড়বে কিছুটা৷ শনিবার সাংবাদিকদের কাছে ঘাটতি রুখতে এমন পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷

ইউরোপের সবচেয়ে ধনী অর্থনীতির দেশ জার্মানি৷ এই তো মাত্র কিছুদিন আগে যখন ঋণ জর্জর গ্রিসের জন্য সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন হল, তখন মোটা অঙ্কের অর্থ দিল কে? জার্মানি৷ শিল্প, আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য, সমাজ সুরক্ষায় এগিয়ে যে দেশ, সেটাও জার্মানি৷ কিন্তু বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ক্রমশ যখন বাড়ছে, সেই জার্মানিই আবার বিপাকে পড়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালা লঙ্ঘন করে৷ যদি এভাবেই সবকিছু আগামীতেও চলতে থাকে৷ সুতরাং ‘নান্ন্য পন্থা'৷ রোখো ঘাটতি৷ সামলাও সবদিক৷

DOSSIER Kampf um den Euro Teil 3
ছবি: AP

সবদিক সামলে ঘাটতি রোখার জন্যই মন্ত্রিসভার দুদিনের বৈঠক ডেকেছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ বৈঠকে সব মন্ত্রককেই হাজির করতে হবে সরকারি খরচাপাতি কমাতে তারা কে কী ব্যবস্থা নিতে পারে তার রূপরেখা৷ পরিকল্পনায় আপাতত বলা হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রতি বছর সরকারি খরচের ১০ বিলিয়ন ইউরো বাঁচাতেই হবে, তা সে যেভাবেই হোক৷ তা না করতে পারলেই ইইউ-র বাজেট ঘাটতির নিয়মকানুন লঙ্ঘন করে যাবে জার্মানি৷ সুতরাং সরকারের ঘরের খরচা কমানোর সেই রাস্তাই একমাত্র পথ৷ ম্যর্কেলের জোটসঙ্গীদের পরামর্শ ছিল, কর বাড়ানোর৷ কিন্তু দ্বিতীয়দফায় চ্যান্সেলর পদে নির্বাচিত হওয়ার পর ম্যার্কেল বলে দিয়েছেন, কর বাড়াতে গররাজি তিনি৷

অতএব কোপ এবার সামাজিক সুযোগ সুবিধায়৷ কিন্তু, বিরোধীরা কী এই সিদ্ধান্ত সহজে মেনে নেবেন? দেখার বিষয় আপাতত সেটাই৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার