বাঘশূন্য হয়ে যেতে পারে সুন্দরবন
১ মার্চ ২০১১গবেষক ড. এম মনির ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে, সুন্দরবন বাঘশূন্য হয়ে যেতে পারে৷''
গতমাসে সুন্দরবন সংলগ্ন শরনখোলা এলাকায় বাঘের চামড়া, মাথার খুলি এবং হাড় আটকের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে জানান সুন্দরবন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গবেষক ড. এম মনির৷ তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিরা আগে ভারত থেকে বাঘের চামড়া সংগ্রহ করত৷ এখান সেই সুযোগ কমে আসায়, তারা বাংলাদেশের সুন্দরবনের দিকে নজর দিয়েছে৷ আর এজন্য তারা নিয়োগ করছে চোরা শিকারি৷
তিনি বলেন, শিকারিরা বাঘের খাদ্য মাংসে বিষ মিশিয়ে অথবা বন্দুকের কল পেতে বাঘ হত্যা করছে৷ শুধু তাই নয়, এই চক্র সুন্দরবনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করেন ড. এম মনির৷ তিনি বলেন, এই চোর শিকারি এবং ডাকাত দলকে প্রতিরোধ করা না গেলে, সুন্দরবন বাঘশূন্য হয়ে পড়বে৷ আর এজন্য প্রয়োজন সুন্দরবনের পাহারা ব্যবস্থায় আধুনিকিকরণ এবং তাকে আরো শক্তিশালী করা৷
ড. এম মনির বলেন, সরকারি হিসেবে সুন্দরবনে প্রায় সাড়ে ৪শ' বাঘের কথা বলা হলেও বাস্তবে বাংলাদেশের সুন্দরবনে ২শ'র বেশি বাঘ নেই৷ তাই বাঘ রক্ষায় জরুরিভিত্তিক কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ