বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাছে সত্য বলাই চ্যালেঞ্জ: জুলহাস আলম
৬ নভেম্বর ২০২০তার সঙ্গে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার লেখক, গীতিকার ও বক্তা চন্দ্রিল ভট্টাচার্য৷ এবারের বিষয় ছিল ‘ফ্যাক্ট ট্রাম্প: মিডিয়া যার, নির্বাচনও তার?'
কথায় কথায় উঠে আসে মিডিয়ার নৈতিকতা ও সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের মতো বিষয়৷ এবিষয়ে চন্দ্রিল ভট্টাচার্য বলেন যে, কাউকে সমালোচনার পরিসর মিডিয়ার কাছে রয়েছে কিন্তু সেটা যদি যুক্তিবহির্ভূত আক্রমণ হয়, তাহলে তা সমর্থনযোগ্য নয়৷ অন্যদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে চন্দ্রিল বলেন, ‘‘ভারতীয় গণমাধ্যমে বহু টিভি চ্যানেল বা পত্রপত্রিকা আছে, যারা আজকাল নিরপেক্ষতার ভানটুকুও করেনা৷ তারা কোনো না কোনো দলের হয়েই কথা বলে৷ ফলে যেখানে আগে আমরা গণমাধ্যমকে প্রশ্ন করতাম যে সে নিরপেক্ষ কি না, এখন তার বদলে আমরা তার পক্ষপাতদুষ্ট না হওয়াকে প্রশ্ন করি৷ এটা আমি মানছি যে, ইদানিং তা (গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা) দেখা যায়না কিন্তু দেখা যায় না মানেই তা যে হতে পারে না, তা কিন্তু নয়৷ কিছুদিন আগে পর্যন্তও দেখা যেত৷'' চন্দ্রিলের মত, ‘‘কোনো গণমাধ্যম পুরোপুরি নিরপেক্ষ না হতে পারলেও অনেকটা নিরপেক্ষ হওয়া যায়৷ অমুক ইস্যুতে না হওয়া গেলেও তমুক ইস্যুতে হওয়া যায়৷''
অতিথি জুলহাস আলমকে প্রশ্ন করা হয় যে, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে কী৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কাছে এখন সত্য বলাই চ্যালেঞ্জ৷ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নিয়মাবলী আমাদের বলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কিন্তু আমরা সাংবাদিকরা দেশে সব সময় তা নিশ্চিত করতে পারিনা৷ অনেকে সেই দায়িত্ব নিতে চাই না৷ কারণ আমাদের আশেপাশে আতঙ্কের পরিবেশ আছে, অনেক রকমের হুমকির সম্ভাবনা আছে৷ তাই আমরা অনেকেই সেলফ-সেন্সরড হয়ে যাই৷ বেসিক জায়গায় কথা বলার পরিধি অনেক কমে এসেছে৷ কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার জায়গাও কমে গেছে৷ শক্তিশালীদের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ নেই৷ এটাই বাস্তবতা৷ রাজনীতির বাস্তবতা না বদলালে, তারা উদারতা না দেখালে আমাদের বাস্তবতা বদলাবে না৷''
আজকের পর্বে এসব ছাড়াও আলোচিত হয় সংবাদমাধ্যমেরসাথে গণরুচির সম্পর্ক, ভারত-বাংলাদেশের নির্বাচনে মিডিয়ার ভূমিকার মতো আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
এসএস/জেডএইচ