বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আশার আলো
১৮ ডিসেম্বর ২০১১প্রথম ইনিংসে ৩৩৮ রান, টেস্ট ইনিংসের হিসেবে এটি হয়তো তেমন বড় কিছু নয়৷ তবে গত কয়েকটা সপ্তাহে বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরমেন্স যদি বিচার করা হয়, তাহলে এটিই সত্যিই আশা জাগানিয়া ইনিংস৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরাটা এখন আশার আলো ছড়াচ্ছে৷ সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১৪৪, শাহরিয়ার নাফিসের তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া, আর মুশফিকের সলিড ৪০ এই সবকিছুই যেন মনে হচ্ছে পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে৷
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে শোচনীয় পরাজয়ের পর বাংলাদেশ দলের কোচ স্টুয়ার্ট ল বলেছিলেন, ব্যাটসম্যানদের প্র্যাকটিসে তেমন কোন সমস্যা নেই, সমস্যা নেই তাদের বেসিকেও৷ সমস্যাটা কেবল মানসিকতাতে৷ একটি ভালো ইনিংসই দলকে ফেরাতে যথেষ্ট৷ অস্ট্রেলিয়ার দলের অন্যতম সাবেক এই ব্যাটসম্যান ঠিকই বলেছেন৷ তাই প্রথম দিনের সাকিব-শাহরিয়ার জুটির পর দ্বিতীয় দিন দেখা গেলো সাকিব-মুশফিক জুটির ব্যাটিং৷ দলের মূল ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন তামিমেরই রানে ফেরা বাকি৷ হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই দেখা যাবে সেই পুরনো তামিমকে, বাংলাদেশের দর্শকরা এখন সেই আশাই করছেন৷
তবে তার আগে তো পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের কথা আসবে৷ রোববার দ্বিতীয় দিনের শুরুর দিকেই হাফিজকে হারিয়েছে তারা৷ দীর্ঘ সাত বছর পর টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া পেসার নাজমুল হোসেন তার প্রথম ডেলিভারিতেই আউট করেছেন এই পাকিস্তান ডেঞ্জারম্যানকে৷ গত টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া হাফিজের চলতি বছরটি গিয়েছে দুর্দান্ত৷ তবে রোববার তিনি আউট হলেন মাত্র ১৪ রানে৷ অবশ্য বাকি সময়টাতে আর কোন সমস্যা হয়নি পাকিস্তান দলের৷ দিন শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়িয়েছে এক উইকেটে ৮৭ রান৷
বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে আরও কিছু না বললে কম হয়ে যায়৷ দিনের শুরুর সেশনটা বেশ ভালোভাবে কাটিয়ে দিলেন সাকিব আর মুশফিক৷ তবে দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি গিয়ে কী যেন হয়ে গেল৷ মুশফিকের কলে সাড়া দিয়ে রান নিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব৷ কিন্তু মুশফিকই আবার ফেরত পাঠান তাকে, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে৷ সাকিব রান আউট হয়ে যাওয়ার পরের বলেই মুশফিকও কট বিহাইন্ড৷ এরপর মাত্র ৩৩ রানের মধ্যেই বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম