বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারের প্রশংসা
১১ আগস্ট ২০১০ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষকেরা কোচিং করাতে পারবেন না৷ তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার আয়োজন করতে পারবে৷ এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে প্রথম আলো লিখেছে, সার্টিফিকেটের জন্য বিদ্যালয়, আর ভালো ফলের জন্য প্রাইভেট টিউটর কিংবা কোচিং – এমনটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার ভেতরের চিত্র৷ যত ভালো স্কুলই হোক না কেন, কোচিং যেন লাগবেই৷ শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়া কিংবা বাইরের কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত এই বাড়তি ক্লাসের বিকল্প নেই৷
শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভোরের কাগজ মন্তব্য করেছে ভোরের কাগজ৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘‘বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানাতেই হয় যে, তারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল ও লক্ষাভিমুখী করতে সচেষ্ট রয়েছেন৷ ইতিমধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ সেখানে আধুনিক শিক্ষাভাবনার প্রয়োগ লক্ষণীয়৷ তবে শুধু আইন বা নিয়ম করাই যথেষ্ট নয়৷ সরকারের এই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে৷ শুধু নিয়ম মানাই যথেষ্ট নয়, জরুরি হলো শিক্ষকদের প্রচলিত মানসিকতা থেকে সরে আসা৷''
‘আর নয় আত্মহত্যা' এই শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠ এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ তাতে দাবি করা হয়েছে, যে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় প্রতিদিন শতাধিক আত্মহত্যার চেষ্টার খবর পাওয়া যায়, অথচ কোনো ‘পুলিশ কেস' বা তদন্ত হয় না৷ এদের অধিকাংশই গৃহবধূ ও ছাত্রী৷ গৃহবধূদের অধিকাংশের কাছ থেকে জানা গেছে, পারিবারিক হতাশার কারণেই তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন৷ যুগান্তর সংবাদপত্রও একই ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম ‘দাম্পত্য কলহ থেকে বাড়ছে আত্মহননের প্রবণতা'৷ তাতে দাবি করা হয়েছে, যে পরকীয়া, দ্বিতীয় বিয়ে, যৌতুকের দাবি, পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহের করুণ বলি হচ্ছে নিরপরাধ শিশু সন্তানরা৷ ইদানীং এ সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই