বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে তুরস্কে পাঠিয়েছে গ্রিস
১৪ নভেম্বর ২০১৯জার্মান ম্যাগাজিন স্পিগেল বুধবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে৷
তুরস্কের অভিযোগ, গ্রিস অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবেদন ঠিকভাবে যাচাই করেনি৷
ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক আইন বলছে, অভিবাসীরা কোনো দেশে গেলে তাদের অন্যদেশে না পাঠিয়ে তাদের আশ্রয় আবেদন যাচাই করতে হবে৷
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি বলছে, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বরের আগ পর্যন্ত এক বছরে ৫৮ হাজার ২৮৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তুরস্কে পাঠিয়েছে গ্রিস৷ এদের মধ্যে পাকিস্তানিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ তবে বাংলাদেশ, সোমালিয়া এবং আলজেরিয়ারও অনেক মানুষ রয়েছেন৷ সিরিয়ার আছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ৷
তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিস থেকে পাঠানো ব্যক্তিদের বেশিরভাগকে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ আর সিরীয়দের তুরস্কের একটি শহরে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তারা শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত ছিলেন৷
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কেরিয়াকস মিতসোতাকিস তুরস্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘যারা শরণার্থী সংকটকে ব্যবহার করেছে তাদের গ্রিস সম্পর্কে বলার সময় সাবধান থাকা উচিত৷''
তবে গ্রিস অনেক বছর ধরেই এভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফেরত পাঠিয়ে থাকে বলে স্পিগেলের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে৷
ইলিয়ট ডুগলাস/জেডএইচ