খেলার মাঠে পতাকা
২৫ মার্চ ২০১৪সর্বশেষ এশিয়া কাপকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত৷ খেলার মাঠে বাংলাদেশিদের হাতে পাকিস্তানি পতাকা দেখে ফেসবুকে হতাশা প্রকাশ করেন অনেকে৷ এরপর মাঠে ভারতের পতাকা নিয়ে প্রবেশেরও বিরোধিতা শুরু হয়৷ খেলার মাঠে বাংলাদেশিদের হাতে ভিন্ন দেশের পতাকা নিষিদ্ধের দাবিও ওঠে৷
‘বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স' এই বিষয়ে লিখেছে, ‘‘বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ৩০ লাখ বাঙালির খুনীদের পতাকা হাতে ‘নামে বাংলাদেশের নাগরিক, কামে মনেপ্রাণে পাকিস্তানি' এজেন্টদের উল্লাস দেখতে চাই না৷ আমরা ফেলানি হত্যার ন্যায়বিচার পাইনি৷ ফেলানির রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ভারতের পতাকা হাতে ভারতপ্রেমীর উল্লাস দেখতে চাই না৷''
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মন্তব্যের ঘরে জেড রহমান লিখেছেন, ‘‘উপমহাদেশে পাকিস্তানের বোলিং আর ভারতের ব্যাটিং-ভক্ত অনেক ক্রিকেটপাগল মানুষ৷ এটা নিয়ে রাজনীতি না করলেই ভালো হয়৷ ভারত-পাকিস্তান খেলায় কেউ ভারতকে, কেউ পাকিস্তানকে সমর্থন করতেই পারে৷ কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে খেলায় যদি কেউ নিজ মাতৃভূমিকে না করে অন্য দলকে সাপোর্ট করে, তাহলে তাকে রাজাকার বলা চলে৷''
একই বিষয়ে ফাহাম আব্দুস সালাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেট একটা খেলার নাম, রাজনীতির মাঠের অক্ষমতার বদলা নেয়ার যুদ্ধক্ষেত্র না; এবং দর্শকের জন্য এটা হওয়া উচিত একটা উৎসব৷ আপনার যাকে ইচ্ছা তাকে সাপোর্ট করেন, সরকার বলার কে? নাকি বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশকে সমর্থন করা যাবে না - এই মর্মেও আইন করবেন৷''
এদিকে, ‘মাজেল মি নট' নামক একটি ফেসবুক পাতা থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, ‘‘বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সমন্বিত দাবি জানানোর পর সারা দেশে বাংলাদেশি নাগরিকের হাতে ভিনদেশি পতাকা ওড়ানোর আপত্তিকর চর্চার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷ বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে সক্রিয় সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে৷''
ব্লগার সুশান্ত দাসগুপ্ত এসংক্রান্ত একটি সংবাদ থেকে উদ্ধৃতি নিয়ে ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন, ‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলছেন, টি-২০ বিশ্বকাপে এখন থেকে কোনো বাংলাদেশি অন্য কোনো দেশের পতাকা বহন বা প্রদর্শন করতে পারবেন না, বা তা নিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন না৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক