বাংলাদেশ-ভারত-নেপালে ভয়াবহ বন্যা
১৩ জুলাই ২০১৯দুই সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে৷ শুধু নেপালেই ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ পুলিশ জানিয়েছে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণের সমতলভূমিতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন ১৫ জন৷
নেপালের আবহাওয়া অধিদপ্তর কোশি নদীর বিপদসীমা নিয়ে অ্যালার্ট জারি করেছে৷ মানুষকে এরই মধ্যে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে৷ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উমাকান্ত অধিকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের প্রথম কাজ সবার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা৷ এ কাজে আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করা হয়েছে৷''
নদীর জল বেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে৷ নৌকা ব্যবহার করে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ৷ ৬৮টি সরকারি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত আট হাজার মানুষ৷
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা বর্ষাকালে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবছরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ শুধু গত বছরই এই অঞ্চলে ঝড়ের তাণ্ডবে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২০০ মানুষ৷
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরও রয়েছে বন্যা ও ভূমিধসের হুমকিতে৷ বিভিন্ন সংস্থা রোহিহ্গা শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে৷
‘পরিস্থিতি ভয়াবহ'
ভারতের আসামে ২১টি জেলার দেড় হাজারেরও বেশি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ বন্যার্তদের মধ্যে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করছে ত্রাণ সংস্থা৷ ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখাগুলোর জল বাড়তে থাকায় প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা৷
শনিবার আসামের দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ মোট ৮৬৯,০২৪ জন মানুষ এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ তাঁদের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে, অথবা ফসলের ক্ষতি হয়েছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘পাঁচজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন, একজন মারা গেছেন ভূমিধসে৷''
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এই অঞ্চলে আরো বেশ কিছুদিন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে৷
এডিকে/ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)