‘ভুয়াদের’ বিরুদ্ধে ফেসবুক কঠোর
১৭ এপ্রিল ২০১৭শুক্রবার প্রকাশিতশবনম শেখের ব্লগ পোস্টে বলা হয়, গত ছয় মাস ধরে তারা একটি ‘স্প্যাম অপারেশন'এর বিরুদ্ধে লড়ছেন৷ এসব ভুয়া লাইক ও মন্তব্য ঐ স্প্যাম অপারেশনের অংশ৷ ঐ অপারেশনের লক্ষ্য, ফেসবুকে জনপ্রিয় পাতাগুলো ‘লাইক' করে সেখানে মন্তব্য করার নতুন ‘বন্ধু' জোগাড় করা এবং পরে তাদের ‘স্প্যাম' পাঠানো৷
নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ফেসবুক অনেক ভুয়া লাইক মুছে ফেলতে সমর্থ হয়েছে বলেও ব্লগপোস্টে জানানো হয়৷
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রকাশিতআরেকটি ব্লগপোস্টে শবনম শেখ জানান, সম্প্রতি ফেসবুক ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করার নতুন কিছু উপায় বের করেছে৷
এদিকে, বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম রবিবার জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের ভুয়া ফেসবুক পাতা ও অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেসবুক৷ শনিবার সকালে বাংলাদেশের অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ পান বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তারানা হালিম জানান, ‘‘আমাদের পাওয়া বিভিন্ন ফেইক আইডিগুলো আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি, ওগুলো বন্ধের কাজ চলছে৷ তারা (ফেসবুক) নিজ উদ্যোগেও কিছু করছে৷''
ভুয়া অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি অনেক প্রকৃত অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী৷ মোহসেনা শাওন লিখেছেন, ‘‘ফেসবুক হাজার হাজার অরিজিনাল আইডি বন্ধ করে দিচ্ছে, এটার কোনো মানে হয়? কী সিস্টেমে তারা ঠিক করছে যে কোনটা ফেক আর কোনটা অরিজিনাল? নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না মেনে এসবের আসলেই কোনো মানে হয় না... আমার অনেক পরিচিতদের আইডি বন্ধ, যেগুলো অরিজিনাল৷ অথচ ফেকগুলো হয়ত ঠিকই বহাল তবিয়তে আছে৷''
লিটন মিয়া ফেসবুকের ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ আরও আগেই এই পদক্ষেপ নেয়া হলে আরও ভালো হতো বলেও ফেসবুকে লিখেছেন তিনি৷
রাসেল খন্দকার লিখেছেন, ‘‘ফেক আইডি নিধন করতে গিয়ে হয়ত অনেকের রিয়েল আইডিও ব্লক হচ্ছে৷ তবে সেটা একটা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই হচ্ছে৷ সুতরাং নিজের আইডিটা বাঁচাতে হলে সবার নিয়মের মধ্যে আসা উচিত৷'' কীভাবে তা করা যেতে পারে তার কিছু উপায়ও বলে দিয়েছেন তিনি৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ফেসবুক)