1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধের বিচার

আশীষ চক্রবর্ত্তী১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

‘প্রজন্ম চত্বর’ আর শাহবাগের সীমানায় বাঁধা নেই৷ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের অনেক শহরেই উঠছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি৷ আজ ডয়চে ভেলের কাছে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনেও উঠলো একই দাবি৷

https://p.dw.com/p/17h2W
ছবি: DW/A. Chakraborty

কনকনে শীত৷ তার তোয়াক্কা না করেই জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে সমবেত তাঁরা৷ তাঁদের কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, ছাত্র, কেউবা হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ ফেলে আসা বাংলাদেশি৷ বন শহরের নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা ছুটে এসেছেন সারা বিশ্বে একটা দাবিকে ছড়িয়ে দিতে, ‘‘একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই৷'' নিয়ম মেনে, পুলিশ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের অনুমতি নিয়ে এসে এ দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ জাতিসংঘের মাধ্যমে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার কাজও সেরেছেন সমাবেশ শেষে৷

সমাবেশ খুব বড় হয়নি৷ ছুটির দিন তো নয় যে ইচ্ছে থাকলেই সবাই চলে আসতে পারবেন! তবু বড় এক দাবিতে সুশৃঙ্খল কিছু মানুষের এ উদ্যোগ অনেকের নজর কেড়েছে৷ আয়োজকদের একজন শরিফুল ইসলাম জানালেন, তাঁদের মূল দাবি একটি, তবে সব মিলিয়ে তিনটি৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, ‘‘আমাদের দাবিগুলো হচ্ছে, যারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসি চাই৷ আর চাই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হোক, আর তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হোক৷''

Shahbag Demonstration in Bonn
ছবি: DW/A. Chakraborty

জামায়াতে ইসলামীর নেতা, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর মূলত কাদের মোল্লা এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতেই সোচ্চার হয়ে উঠেছিল শাহবাগ৷ পরে একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এবং মুক্তিকামী মানুষদের নির্বিচারে হত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটপাটের মতো কাজে জড়িতদের দল বলে পরিচিত জামায়াতকে নিষিদ্ধ করারও দাবি ওঠে৷ সম্প্রতি ট্রাইব্যুনালের আইনের সংশোধনী পাশ হওয়ায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে বলেই আইনজীবীরা জানিয়েছেন৷ বন শহরে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসা সবাই মনে করেন, অচিরেই এসব ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷

বাংলাদেশ অধ্যাপক পরিষদের সাবেক সভাপতি, জার্মান সরকার স্বীকৃত অনুবাদক ও দোভাষী শরিফুল ইসলাম আরেকটা দাবির কথাও বললেন আলাদা করে, বললেন, ‘‘আমরা ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার চাই৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য