বডি শেমিং ঠেকাতে আইন না সচেতনতা প্রয়োজন
১ এপ্রিল ২০২২তিনি জানান, ‘‘কিছুদিন আগে আমি একটা বিয়েতে গেলাম৷ কনে একটু বাল্কি৷ তাকে নিয়ে অনেকে বলাবলি করছিলেন, বউ যে কিভাবে এত মোটা হতে পারে, সেটা তারা অনেকদিন পর দেখলেন৷ এখনকার যুগে মানুষেরা তো অনেক স্বাস্থ্য সচেতন, কিন্তু মেয়েটা অনেক মোটা৷ নিজের প্রতি সচেতন নয়৷’’
খর্বাকৃতি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নেয়া মানুষেরা নানা ভাবে সমাজের অন্য মানুষের দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷ জন্মের দায় ব্যক্তি মানুষের না হলেও, তাদের শারীরিক গঠন নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে৷ গ্রাম থেকে শহরে, সবখানেই বিরাজ করছে এমন চিত্র৷
এমনকি বহির্বিশ্বেও চিত্রটা যে ভিন্ন সেটা বলারও উপায় নেই৷ কারণ মর্যাদাপূর্ণ অস্কারের মঞ্চেও বডি শেমিংকে ঘিরে ঘটে গেল তেমন এক ঘটনা৷
হলিউড সুপারস্টার উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথ অ্যালোপেসিয়া রোগে আক্রান্ত৷ তাই চুল পড়ে যাচ্ছে তার মাথা থেকে৷ অস্কার মঞ্চে জি. আই. জেইন ২ চলচ্চিত্রে ডেমি মুরের পরিবর্তে চুলহীনা জাডাকে নেয়ার বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান ক্রিস রক৷ কিন্তু রসিকতাটা সহজভাবে নিতে পারেননি উইল স্মিথ৷ নিজের স্ত্রীকে নিয়ে অসম্মানজনক কথা বলার প্রতিক্রিয়ায় মঞ্চে গিয়ে রককে চড় মারেন তিনি৷ চিৎকার করে বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর নাম উচ্চারণ থেকে দূরে থাক!’’
নিজের আচরণের জন্য তাৎক্ষণিক ক্ষমা না চাইলেও পরে ক্রিস রকের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন উইল স্মিথ৷
এ বছরের ৫ মার্চ ‘তরুণীদের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর প্রভাব’ শীর্ষক একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে বেসরকারি সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন৷
সেখানে দেখা গেছে, ৬৯.৯২ শতাংশ তরুণী শারীরিক অবয়ব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন৷ এক হাজার ১৪ তরুণীর ওপর জরিপ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় সংগঠনটি৷
এতে আরও উঠে এসেছে, ৩৭.২৪ শতাংশ তরুণী তাদের শরীরের আকৃতি, গঠন এবং অবয়ব নিয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনরা কথায় ও ইঙ্গিতে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন৷
বন্ধুবান্ধবের কাছে বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন ২২ শতাংশ নারী৷ আর পরিবারের মানুষের কথা শুনেছেন ১৪.২৫ শতাংশ৷ পথচারীর মাধ্যমে শারীরিক অবয়ব নিয়ে নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে ১১.৮৫ শতাংশ তরুণীর৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হকও মনে করেন, দেশের বাস্তবতায় পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি বডি শেমিংয়ের শিকার হচ্ছেন৷
স্থুল শরীর, চুলের পরিমাণ কম, গায়ের রঙ- এই বিষয়গুলো নিয়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি আক্রমণের শিকার হয় বলেও জানান এই জেন্ডার বিশ্লেষক৷
তিনি বলেন, ‘‘শরীর প্রকৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ প্রকৃতির ওপর আমাদের কারও হাত নেই৷’’
সমাজের শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও বডি শেমিংয়ের চর্চা আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক তানিয়া হক৷
তিনি বলেন, ‘‘অনেকে এটা নিয়ে মশকরা করেন, এটা নিয়ে ঠাট্টা করেন৷ একটা মানুষের মনের জায়গাটা নিয়ে আমরা কখনও চিন্তা করিনি৷ আমরা তার বাহ্যিক জায়গাটাকে ধরে তাকে যতটুকু আন্ডারমাইন করা যায়, সে ধরনের ভাষা ব্যবহার করে তাকে অনেক ভালনারেবল করে ফেলি৷ আমরা নিজেদেরকে যাচাই করি না সে জায়গাটায়৷’’
এই জেন্ডার বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘বডি শেমিং এমন এক ধরনের চর্চা, এটার মধ্যে আমরা কেউ আনন্দ খুঁজে পাই৷ কেউ মনে করি, এটা কোনো বিষয়ই না৷ বিষয়টাকে খুব হালকাভাবে দেখি৷ যার ওপর দিয়ে যায়, সে কিন্তু এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে হিউমিলিয়েট হয়৷’’
বডি শেমিং দেশের নতুন কিছু কিংবা কোনো কোনো দেশের মধ্যেও সীমাবদ্ধ নয় বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক৷ বডি শেমিংয়ের চলন বা অনুশীলন সমাজের শুরু থেকে বিরাজ করছে অভিমত তার৷
ডয়চে ভেলেকে তৌহিদুল হক বলেন, ‘‘এক পক্ষ আরেক পক্ষকে, এক জেন্ডার আরেক জেন্ডারের মানুষকে, কিংবা একজন ব্যক্তি তার অপছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনধিকার চর্চা বা অঙ্গভঙ্গি করে হাস্যরসাত্মক পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টা করেন বডি শেমিংয়ের মাধ্যমে৷’’
তিন দশক আগেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় বডি শেমিং নিয়ে খুব একটা কেউ মাথা ঘামাত না৷ কিন্তু এখন প্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়ে যাওয়া এবং বিনোদনের জায়গা ও আড্ডা সংকুচিত হয়ে আসাকে সংকট হিসেবে দেখছেন এই সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক৷
তৌহিদুল হক বলেন, ‘‘ইন্টারনেটের ব্যবহার বা সোশ্যাল মিডিয়া এখন আমাদের অবসরের বড় অংশ নিয়ে নিচ্ছে৷ ফলে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ইন্টারেকশন কম হচ্ছে৷ সমমনা মানুষেরা মিলে উপসংস্কৃতির যে পরিবেশ তৈরি হয়, সেগুলো অপেক্ষাকৃত কম হচ্ছে৷ ফলে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে অথবা সে মনে করছে আমাকে অপমান করেছে, অপদস্ত করেছে৷’’
বডি শেমিংয়ের প্রভাব
যিনি বডি শেমিংয়ের শিকার হন, তার মধ্যে একটা মনস্তাত্ত্বিক পীড়ন বা অস্বস্তি তৈরি হয় বলে মনে করেন সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক৷
তিনি বলেন, ‘‘কোনো কোনো সময় ওই ব্যক্তি প্রকাশ্য বিরোধিতা না করলেও বা বিরোধিতা করার সামর্থ্য না থাকলেও মনে মনে ঘৃণা করতে শেখেন৷’’
তৌহিদুল হকের মতে, ‘‘যাদের অ্যাডজাস্টমেন্ট ক্যাপাসিটি দুর্বল, তারা বডি শেমিংয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় বা আচরণগত অসুস্থতায় ভোগেন৷’’
অনেকের ক্ষেত্রে বিষয়টি আবার খুব একটা প্রভাব ফেলে না বলেও জানান তিনি৷ তার মতে, ‘‘ব্যক্তিকে মনস্তাত্ত্বিক বা শারীরিকভাবে কাবু করতে না পারলেও এই অভিজ্ঞতা তার মননে দীর্ঘসময় ধরে পীড়া দেয়৷’’
বিশ্ব জুড়ে চলমান এ ধরনের সমস্যাগুলোকে মনস্তাত্ত্বিক বলে মনে করেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ড. তানিয়া হকও৷
আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষাতেও দেখা গেছে, ওজনের কারণে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হতে হয় বলে মনে করেন ৩৯.৪৯ শতাংশ তরুণী৷ আর গায়ের রঙের ক্ষেত্রে তা ৩৬.৯৫ শতাংশ৷
প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন হলে একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং হীনমন্যতা কাজ করে বলে মনে করেন মনোবিশেষজ্ঞরা৷
এ ক্ষেত্রে পারিবারিক শিক্ষাটাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন৷ তার মতে, পারিবারিক শিক্ষার ওপর নির্ভর করে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠন হয়, তার আচার আচরণের প্রকাশ ঘটে৷
তিনি বলেন, ‘‘নিজের সম্পর্কে নিজের ধারণা যদি পরিস্কার হয়, নিজের সম্পর্কে নিজের ধারণা যদি পজিটিভ হয়, তাহলে চিকন বলল কে, মোটা বলল কে, কালো বলল কে- এগুলো খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করে না৷’’
ব্যক্তি মানুষের আত্মসম্মান পরিবার থেকে তৈরি হয় জানিয়ে এই মনোবিশ্লেষক বলেন, ‘‘বাবা-মাকে দেখা যায়, নিজের ছেলে-মেয়েকে অন্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বলে, আমার এই ছেলেটা একটু কালো হইছে, মেয়েটা একটু ওরকম হইছে৷’’
পরিবারের লোকজনের মধ্যে এমন আচরণ থাকলে তা প্রতিবেশিকেও প্রভাবিত করে বলে জানালেন কামাল উদ্দিন৷
তিনি বলেন, ‘‘বাড়ির লোক, ঘরের লোক, প্রতিবেশি সবাই মিলে যখন বলে, তখন নিজের সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ইমেজ তৈরি হয়৷ নেগেটিভ ইমেজ খারাপের দিকে যায়৷ যদি ধরেন স্কুলে গেল, তখন যদি কেউ বলে তুই দেখতে এরকম, ওরকম৷ তখন কিন্তু ওই মানুষটি সাইকোলোজিক্যালি সিরিয়াসলি অসুবিধায় পড়ে৷’’
পরিবার যদি ওইরকম আচরণ না করত, তাহলে বাইরের কথা শুনলেও কিন্তু তার মনের অবস্থা খারাপ হতো না বলে মনে করেন অধ্যাপক কামাল উদ্দিন৷
আইনি কাঠামো নয়, প্রয়োজন সচেতনতা
বডি শেমিং নিয়ন্ত্রণে শুধু আইনি কাঠামোকে যথেষ্ট মানতে নারাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক৷ বরং সংকট দূর করতে ‘সামষ্টিক একটি চিন্তাভাবনা' প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি৷
বডি শেমিংয়ের শিকার হয়ে কেউ যদি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন, তাহলে সমাজে এর মাত্রা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি৷
কারণ ব্যাখ্যা করে তৌহিদুল হক বলেন, ‘‘যদি ব্যক্তি এই জায়গাগুলো নিজস্ব শক্তি বা সক্ষমতা দিয়ে কাটিয়ে উঠতে না পারে, তখন তার পরিবারের সমর্থন বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা বা সামাজিক সুশাসনের প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু বডি শেমিংয়ের শিকার যারা, তারা বিষয়টি চেপে যান অথবা নিজেই একাকিত্বের মধ্যে চলে যান৷ ফলে যারা বডি শেমিং করে, তাদের মধ্যে আগ্রহটা বেড়ে যায়৷’’
এক্ষেত্রে আইনি প্রতিকার চাওয়ার সুযোগটাও কম বলে জানালেন এই শিক্ষক৷ তিনি বলেন, ‘‘এই জায়গাতে আমাদের দেশে আইনি কোনো ভিত্তি নেই৷ আমাদের অন্য আইনগুলো দিয়ে হয়ত মামলা করা বা থানায় অভিযোগ করা যায়৷ তখন হয়তো মীমাংসা করে দেয়া হয়৷’’
আবার মনস্তাত্ত্বিকভাবে বডি শেমিংকে ‘একটা গুরুতর অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করার মতো অবস্থানেও সমাজ যেতে পারিনি বলে মনে করেন তিনি৷
নিজের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘‘আমাদের সমাজে এত বেশি অপরাধ আছে, সেগুলোর তুলনায় বডি শেমিং আসলে ছোটো একটি অপরাধ৷ কিন্তু ছোটো অপরাধ যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হই, তাহলে ছোট অপরাধ থেকে বড় অপরাধের সূত্রপাত তৈরি হবে৷’’
অপরাধের ধরন ছোট হলেও বডি শেমিংকে ‘অ্যান্টি সোশ্যাল ক্রাইম’ বা ‘সমাজ বিচ্যুত আচরণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এই সমাজ বিশ্লেষক৷
শুধু আইনি কাঠামো দিয়ে এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন এই অপরাধ বিশেষজ্ঞ৷
তিনি বলেন, ‘‘আইন করে যতটা না নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, মানুষকে সচেতন করা এবং পারিবারিক প্রেক্ষাপটে সচেতন করা, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একজন মানুষকে অপর একজন মানুষের প্রতি সংবেদনশীল হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব৷’’
মানুষের ‘মানবিক গুণাবলী’ জাগিয়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তৌহিদুল হক বলেন, ‘‘ব্যক্তির যা কিছু আছে, তা নিয়ে ব্যক্তিকে গ্রহণ করা, সম্মান জানানো যায়, তবে আত্মসম্মান বোধে উদ্বুদ্ধ সমাজ তৈরি হয়৷ আমাদের এখানে এটার ঘাটতি আছে বলেই বডি শেমিংয়ের মতন অপরাধ বা দৃষ্টান্তগুলো দেখতে পাচ্ছি৷’’
নিজের সম্মান প্রাপ্তির আনন্দকে গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে অপরকে সম্মানিত করাটাও মানুষের দায়িত্ব বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক৷
তিনি বলেন, ‘‘পারস্পরিক সম্মান সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করে, সোসাইটিকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যায়৷ এইটুকু (সম্মান) দেয়া এবং নেয়া, এটার মধ্যে কোনো কার্পণ্য করা উচিত না৷ এটা হচ্ছে আসল প্ল্যাটফর্ম সমাজে বসবাস করার৷ সম্মান এবং ভালোবাসার দেয়ার জন্য লাগে মন৷’’
কেউ অসম্মানিত হতে পারে, এমন কোনো কথা বা অ্যাপ্রোচ কারোরই করা উচিত না বলেও মনে করেন তানিয়া হক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরামর্শ দিতে পারি৷ কিন্তু পরামর্শ দিতে গিয়েও ভাষা এমন হবে না যে, সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে৷’’