পৌষের ছবির উৎসব
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫কক্সবাজারে বসবাসকারী মো. আনসারুল করিম ফেসবুকে একটি বৃষ্টির ছবি শেয়ার করেছেন৷ আজ সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে তিনি নাকি এই ছবিটি তোলেন৷ করিম একে ‘শীতের পরিবর্তে বর্ষা' বলে অভিহিত করেন৷ অবশ্য টুইটার ব্যবহারকারী ফজলে আর রুম্মান পৌষের প্রথম দিন শীতের অনুভূতি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন৷ বিষয়টি নিয়ে তিনি একটু মজাও করেছেন৷
শাহেদ খান তুহিন পৌষ মাসকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে,
আয় রে চলে আ য় আ য় আয়.. স্বাগতম পৌষ মাস...৷''
অপূর্ব সজীব টুইটারে শীতের ছবি পোস্ট করে পৌষ মাসকে স্বাগত জানিয়েছেন৷
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর মতো নাসিমুল গনি ফেসবুকে প্রচলিত একটি বাংলা প্রবাদের উল্লেখ করে বলেন, ‘‘কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ – এই কথাটি প্রচলিত থাকলেও আগামী ৩০ দিন সকল বাঙালির জন্য শুধু মাত্র পৌষ মাস৷''
এই প্রবাদে যে সর্বনাশের কথা বলা হয়েছে তার বেশি শিকার হন দরিদ্র মানুষরা৷ প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে গরিব মানুষরা প্রচণ্ড শীতে কাতর হয়ে পড়েন৷ তাদের জন্য শীতবস্ত্র সংগ্রহের উদ্যোগের খবর পাওয়া গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷
শীত এলেই নানারকম সুস্বাদু পিঠার কথা মনে পড়ে৷ আবু হোসেন শ্যারন ফেসবুকে পিঠা নিয়ে তাঁর ছোটবেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘পৌষ-পিঠা কথাটা খুব নিবিড়ভাবে মিশে আছে আত্মার সাথে৷ অগ্রহায়ণ মাসের কর্মব্যস্ততা শেষ করার পরেই পৌষ মাসে শুরু হতো ঘরে ঘরে পিঠা উৎসব৷ আবারো সেই পৌষ মাস এসে দ্বারে কড়া নাড়ালো, কিন্তু সেদিনের সেই দিনগুলো আর নেই৷ নেই গাছির লাগানো খেজুরের রস৷ আমি ছেলেবেলা থেকেই দেখেছি আমাদের বাড়ির ভেতরে নয়টা খেজুরের গাছ ছিল৷ গাছি এসময় আমাদের বাহির ঘরে থাকতো৷ একটা বড় গাছের রস রাতে ও সকালে দু'বেলা দিত৷ বাকি সব গাছের রস সে নিজে নিত৷ বিনিময়ে বছর শেষে গাছ প্রতি ১১ সের গুড় দিত৷ খেজুরের রস খেয়ে আমরা শেষ করতে পারতাম না৷ জ্বাল করে লালি বানাতো৷ গুড় দিয়ে কত রকমের পিঠা...৷ পৌষ-পিঠা আবারো সেই দিনের কথাগুলো চোখে ভেসে উঠে...৷''
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর এক প্রতিবেদনে শীতের নানারকম পিঠার কথা উঠে এসেছে৷ ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ পুলি, তেল পিঠা, পাটিসাপ্টা, মেরা পিঠা/চই পিঠা, নকশী ইত্যাদি পিঠার কথা আছে তাতে৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ