ফেলো কড়ি নাও চাকরি
৭ এপ্রিল ২০২৩বৃহস্পতিবার আলিপুর নগর দায়রা আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। সেখানে আদালতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ডায়েরি পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর দাবি, পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ানো হতো টাকার অঙ্কের উপর। যে যত বেশি টাকা দিত, তার নম্বরও তত গুণ বাড়ানো হতো।
উদাহরণ হিসেবেসিবিআই বলেছে, ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে কেউ যদি তা ৭২ শতাংশ করতে চাইতো, তাহলে টাকা লাগতো তুলনামূলক কম। কিন্তু ৬৫ থেকে ৭২ শতাংশ নম্বর নিয়ে যেতে হলে টাকা দিতে হতো অনেক বেশি। কোন নম্বর থেকে কোন নম্বরে পৌঁছাতে গড়ে কত টাকা করে দিতে হতো, তার একটি প্রাথমিক হিসেব আদালতের কাছে পেশ করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, পরীক্ষা দিয়ে কে কত নম্বর পাচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, টাকা দিয়ে কে কত নম্বর পাচ্ছে, তার উপরেই চাকরি নির্ভর করতো। টাকার অঙ্কই ঠিক করে দিত মার্কশিট।
এদিন অবশ্য বিচারক সিবিআই-কে বলেছেন, সময় সময় অভিযোগগুলি বদলে যাচ্ছে। মূল অভিযোগ কী, তা বোঝা যাচ্ছে না। বস্তুত, তার পরেই টাকা দিয়ে নম্বর কেনার বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এদিকে, বিচারকের কাছে চিঠি দিয়ে ধৃত কুন্তল ঘোষ জানিয়েছেন, ইডি-র অফিসাররা তাকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন। আদালতে পেশের সময় কার্যত সাংবাদিক বৈঠকের ঢঙে একথা জানিয়েছেন কুন্তল।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)