ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে প্রাণহানির তথ্য
জাতিসংঘের সংস্থা ‘অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ ওসিএইচএ ২০০৮ সাল থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে হতাহতের সংখ্যার হিসাব রাখছে৷ ছবিঘরটি সেই তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি৷
ফিলিস্তিনির প্রাণহানি
জাতিসংঘের সংস্থা ‘অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ ওসিএইচএ ২০০৮ সাল থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে হতাহতের সংখ্যার হিসাব রাখছে৷ তাদের হিসেবে ১ জানুয়ারি ২০০৮ থেকে ২৬ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৯৫৩ জন ফিলিস্তিনি (এর মধ্যে সাধারণ নাগরিক তিন হাজার ৩৮৮ জন) প্রাণ হারিয়েছেন৷
ইসরায়েলি প্রাণহানি
২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৮ মে পর্যন্ত মারা যাওয়া ইসরায়েলির সংখ্যা ২৬২ জন (এর মধ্যে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনাকারী ৯৯ জন ও সাধারণ নাগরিকের সংখ্যা ৪১)৷
আহত
উল্লেখিত সময়ে এক লাখ ২৮ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন৷ ইসরায়েলি আহত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭০৯ জন৷
লিঙ্গ ও বয়সভেদে হিসাব (ফিলিস্তিন)
মারা যাওয়া পাঁচ হাজার ৯৫৩ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে তিন হাজার ৯৮৪ জন পুরুষ, ৬১১ জন নারী, এক হাজার ৭৪ জন বালক ও ২৬৭ জন বালিকা৷ ছবিতে দুই বছরের ফিলিস্তিনি শিশু মালেক শাতের মরদেহ হাতে তার স্বজনদের দেখা যাচ্ছে৷ ২০১১ সালে ইসরায়েলের হামলায় মালেকের মৃত্যু হয়৷
লিঙ্গ ও বয়সভেদে হিসাব (ইসরায়েল)
প্রাণ হারানো ২৬২ জনের মধ্যে ২০৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী, ১৫ জন বালক ও ছয়জন বালিকা রয়েছে৷
সবচেয়ে বেশি হতাহত যে বছর
২০১৪ সালে দুই হাজার ৩২৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান৷ ঐ বছর ইসরায়েলি মারা গেছেন ৮৮ জন৷ হামাসের দুই সদস্য কর্তৃক ইসরায়েলের তিন টিনএজার অপহরণ ও হত্যার পর ঐ বছরের ৮ জুলাই হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামলা শুরু করেছিল ইসরায়েল৷ শেষ হয়েছিল ২৬ আগস্ট৷ ছবিতে ২০২০ সালে ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে নিহত আয়াদ হালাকের ছবি হাতে তার মাকে দেখা যাচ্ছে৷
বছরভেদে প্রাণহানি (ফিলিস্তিন)
২০০৮ সালে ৮৯৯, ২০০৯ সালে ১০৬৬, ২০১০ সালে ৯৫, ২০১১ সালে ১২৪, ২০১২ সালে ২৬০, ২০১৩ সালে ৩৯, ২০১৫ সালে ১৭৪, ২০১৬ সালে ১০৯, ২০১৭ সালে ৭৭, ২০১৮ সালে ৩০০, ২০১৯ সালে ১৩৭, ২০২০ সালে ৩২ ও ২০২১ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত ৩১২৷
বছরভেদে প্রাণহানি (ইসরায়েল)
২০০৮ সালে ৩৪, ২০০৯ সালে ১১, ২০১০ সালে ৮, ২০১১ সালে ১৬, ২০১২ সালে ৭, ২০১৩ সালে ৬, ২০১৫ সালে ২৬, ২০১৬ সালে ১২, ২০১৭ সালে ১৭, ২০১৮ সালে ১৩, ২০১৯ সালে ১০, ২০২০ সালে ৩ ও ২০২১ সালের ১৮ মে পর্যন্ত ১১৷