ফিলিপাইন্স : যে দেশের নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে বাস্কেটবল
পুরুষদের বাস্কেটবল বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আয়োজক এশিয়ার তিন দেশ জাপান, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্স৷ যৌথ আয়োজকদের মধ্যে আলোচনায় সবচেয়ে এগিয়ে ফিলিপাইন্স৷ কারণ, সে দেশে বাস্কেটবলের তুমুল জনপ্রিয়তা৷ দেখুন ছবিঘরে...
এশিয়ায় চতুর্থ আয়োজন
বাস্কেটবলে বিশ্বশ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াই এই নিয়ে চতুর্থ বারের মতো হচ্ছে এশিয়ায়৷ এশিয়ায় প্রথম বারের মতো এ আসর বসেছিল ফিলিপাইন্সে, ১৯৭৮ সালে৷ পরের দুবারের আয়োজক ছিল জাপান এবং চীন৷ জাপান আয়োজনের গুরু-দায়িত্ব পেয়েছিল ২০০৬ সালে এবং চীন পেয়েছিল ২০০১৯ সালে৷
১৯তম আসরে প্রথম
১৯৫০ সালে আর্জেন্টিনায় প্রথম আয়োজনের সময় বাস্কেটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতাটির নাম ছিল বাস্কেটবল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ৷ ২০১০ সাল থেকে আসরের নাম হয়ে যায় বাস্কেটবল বিশ্বকাপ৷ ৭৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম আসর হচ্ছে একাধিক দেশে৷
ফিলিপাইন্স : বাস্কেটবল যেখানে জীবনের অংশ
ফিবা র্যাঙ্কিংয়ের ৪০তম দেশ ফিলিপাইন্স৷ কিন্তু বাস্কেটবলপ্রেমে ফিলিপিনোরা মনে হয় সারা বিশ্বে সবার চেয়ে এগিয়ে৷ দেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বাস্কেটবল খেলা হয় না, বলতে গেলে এমন কোনো বয়সও নেই যে বয়সের মানুষ বাস্কেটবল দেখেন না বা খেলেন না৷
ছেলে-বুড়ো সবার খেলা
ওপরের ছবিতে ম্যানিলার টন্ডো এলাকার এক বাড়ির ছাদে শিশুদের বাস্কেটবল খেলার দৃশ্য৷ তাদের জীবনে বাস্কেটবল এখন যেমন আপন হয়ে আছে, বার্ধক্যেও এমনই থাকবে, কারণ, ফিলিপাইন্সে এটাই অলিখিত নিয়ম৷
বস্তি থেকে গির্জা
ওপরের ছবিতে নাভোতাস নদীর তীরে কিশোরদের বাস্কেটবলে মজে থাকার মুহূর্ত৷ নদীর তীরেও বাস্কেটবল খেলা হয় জেনে অবাক হলেন? ফিলিপাইন্সে এটা খুবই স্বাভাবিক৷ ১২ কোটি মানুষের দেশটিতে এমন গির্জাও খুব কম পাবেন যার পাশে কোনো বাস্কেটবল কোর্ট নেই৷
দুই টুকরো তার
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত ভালো নয় যে সারা দেশে অসংখ্য আধুনিক বাস্কেটবল কোর্ট করে দেবে সরকার৷ টেলিভিশন উপস্থাপক সেভ সারমেন্তা রয়টার্সকে বললেন বাস্কেটবল খেলার জন্য শুধু একটু তার আর একটা বলই যথেষ্ট, ‘‘আমি এখানেই একটা ব্যাকবোর্ড বানিয়ে দেখাতে পারি৷ একটা তার দিন, ওই তারটাই হয়ে যাবে রিং৷ সেই রিং কাছের কোনো দেয়ালে লাগিয়েই খেলা শুরু করে দেয়া যায়৷’’
শত বছরের প্রেম
ফিলিপাইন্সে বাস্কেটবল খেলা শুরু হয় ১৯১০ সালের দিকে৷ ফিলিপাইন্স তখন যুক্তরাষ্ট্রের কলোনি৷ তখন অ্যামেরিকান এক শিক্ষক মেয়েদের এক স্কুলে প্রথম শুরু করেছিলেন বাস্কেটবল খেলা৷ তারপর থেকে ফিলিপাইন্সে বাস্কেটবলের জনপ্রিয়তা শুধু বেড়েছে৷