ফাতাহ - হামাস
৬ অক্টোবর ২০০৬জানুয়ারীর নির্বাচনের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট হুসনি মোবারক বলেন, প্যালেস্টাইনে পরিবেশ এখন আগের মত নেই৷ রামাল্লা ও গাজায় সমস্যার সমাধান, সরকার এবং হামাসের মধ্যে সংকট নিরসনের অনেক চেষ্টা তিনি করেছেন৷ কিন্তু তিনি খুব বেশীদূর এগিয়ে যেতে পারেননি৷ তার পরেও তিনি হাল ছাড়ছেন না৷ গাজা এলাকায় তার প্রতিনিধিরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে দু পক্ষের সাথেই৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি৷
মিশরের পাশাপাশি কাতারও চেষ্টা করছে সাহায্য করতে৷ কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল এখন পর্যন্ত আসেনি৷ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার কাতারে গেছেন এবং প্রতিবারই চেষ্টা করেছেন হামাস নেতা খালেদ মাশালের সাথে একটি সমঝোতায় আসতে৷ কিন্তু কোন লাভ হয়নি৷
মাহমুদ আব্বাস চেষ্টা করেছেন, হামাস সরকার আর ফাতাহকে নিয়ে একটি জোট সরকার গঠন করতে, যেখানে ফাতাহ বিশেষ একটি ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে৷ এই জোট সরকারের পক্ষ থেকে ইসরায়েলীদের সাথে আলোচনার কথাও বলা হয়েছিল৷কিন্তু তাতে রাজী হয়নি হামাস৷
যদি হামাসের পক্ষে এই আলোচনা মেনে নেয়া খুব সহজ হতো তাহলে প্রয়াত পি এল ও নেতা ইয়াসির আরাফাতের প্রচেষ্টাও কিছুটা বাস্তবায়িত হত৷ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া হলে প্যালেস্টাইনের জন্যও অনেক কিছু সহজ হতো৷
কিন্তু হামাস কোন অবস্হাতেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজী নয়, ইসরায়েলের সাথে কোন ধরনের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করতেও তারা নারাজ৷ শুধুমাত্র যুদ্ধ বিরতিতে কিছুটা আগ্রহ তারা দেখিয়েছে৷
কিন্তু ইসারেয়েল হামাসের কোন প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকার করে৷ একই সাথে ইউরোপীয় দেশগুলো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাস সরকারকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে আখ্যায়িত করে৷ তারা হামাস সরকারের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি, বরং হামাস সরকার ক্ষমতায় আসার কারণে সব ধরনের বিদেশী সাহায্য বন্ধ রেখেছে৷ মূল লক্ষ্য একটাই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দান৷
মাহমুদ আব্বাস চেষ্টা করেছেন জাতিসংঘ এবং মার্কিন সরকারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে৷ কিন্তু তাতে ফিলীস্তিনীরা খুব লাভবান হয়নি৷ বেকারত্ব বেড়েছে, সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফিলীস্তিনের প্রতিটি ঘরে দেখা দিয়েছে হাহাকার৷ এরপর ইসরায়েলী সেনা অপহরণের পর গাজায় ইসরায়েলী আক্রমণ চলেছে প্রতিনয়ত৷ এই আক্রমণের ফলে হামাস এবং ফাতাহ বেছে নিয়েছে দুটি ভিন্ন পথ৷ ইসরায়েলের আক্রমণের মূল্য দিতে হয়েছে নীরিহ ফিলীস্তিনি মানুষদের৷
কিন্তু তারা কোন অবস্হাতেই হামাসকে এই আক্রমণের জন্য দায়ী করতে রাজী নয়৷ প্রথমত এই আক্রমণের জন্য তারা দায়ী করছে ইসরায়েলকে এবং দ্বীতিয়তঃ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে৷