1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেম ছিল বিদ্রোহ: আসাঞ্জের বাগদত্তা

১৩ এপ্রিল ২০২০

লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় নিজের আইনজীবীর সঙ্গে প্রেম করেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জ, দুই ছেলের পিতাও হয়েছেন৷ এক সাক্ষাৎকারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন আসাঞ্জের বাগদত্তা স্টেলা মরিস৷

https://p.dw.com/p/3apTT
ছবি: NDR

সাউথ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া মরিস সুইডেনের নাগরিক৷ ২০১১ সালে তিনি প্রথম আসাঞ্জের সঙ্গে পরিচিত হন৷ এরপর থেকে আসাঞ্জের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন৷

লন্ডনের ‘মেইল অন সানডে' রবিবার আসাঞ্জের দুই ছেলে থাকার কথা জানায়৷ প্রতিবেদনে মরিসের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করা হয়৷ এতে ইকুয়েডর দূতাবাসের কাছে সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকা মার্কিন নিরাপত্তা সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে কীভাবে তাঁরা প্রেম করেছেন এবং সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন, তা জানিয়েছেন৷

ধর্ষণ মামলার কারণে সুইডেন আর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের বিচার করতে যুক্তরাষ্ট্র আসাঞ্জকে খুঁজছে৷ এ থেকে বাঁচতে ২০১২ সালে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন আসাঞ্জ৷ প্রায় সাত বছর সেখানে থাকার পর গত বছরের এপ্রিলে দূতাবাস থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ৷ এখন তিনি লন্ডনের কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত বেলমার্শ কারাগারে আছেন৷

আসাঞ্জের আইনজীবী হিসেবে নিয়মিত দূতাবাসে যেতেন মরিস৷ ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তাঁরা প্রেম শুরু করেন বলে জানান তিনি৷ আসাঞ্জ সম্পর্কে মরিস বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে সে, আমি যে মানুষটাকে দেখতে পছন্দ করতাম তার চেয়ে আমি যে মানুষটাকে এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দেখতে চাই, সেই মানুষে পরিণত হয়েছিল৷

‘‘মানুষের কাছে তাঁর যে ভাবমূর্তির তার প্রেমে আমি পড়িনি, এর পেছনে আছে প্রকৃত মানুষটি,'' বলে জানান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা ৩৭ বছরের স্টেলা মরিস৷

সুইডেনের নাগরিক হলেও ২০ বছর ধরে ব্রিটেনে বাস করছেন মরিস৷ ২০১৭ সালে আসাঞ্জ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বলে জানান তিনি৷ সেই সময় তাঁরা আংটি বিনিময় করেন৷

এর আগে ২০১৬ সালে গর্ভধারণ করেন মরিস৷ প্রথম সন্তান গ্যাব্রিয়েলের বয়স দুই৷ আর ছোট ছেলের নাম ম্য়াক্স৷ গতবছর ফেব্রুয়ারিতে জন্মায় সে৷

মরিস বলেন, দূতাবাসের সামনে প্রহরায় থাকা মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীরা যেন তাঁর গর্ভধারণের বিষয়টি বুঝতে না পারেন সেজন্য় ঢিলেঢালা পোশাক পরতেন তিনি৷ প্রথম সন্তান জন্মানোর সপ্তাহখানেক পরেই তাকে লুকিয়ে দূতাবাসে নিয়ে যাওয়ার কাহিনিও শুনিয়েছেন মরিস৷ 

মার্কিন নিরাপত্তা কর্মীরা একবার প্রথম সন্তান গ্যাব্রিয়েলের ন্যাপকিন থেকে ডিএনএ চুরির চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মরিস৷ তারা ধারণা করছিলেন, গ্যাব্রিয়েলের বাবা হয়ত আসাঞ্জ৷

দূতাবাসে প্রেমের বিষয়টি বিদ্রোহের অংশ ছিল বলে মন্তব্য় করেছেন মরিস৷ তিনি বলেন, ‘‘সে (আসাঞ্জ) দূতাবাসে থাকার সময় প্রেমে পড়া, এনগেজড হওয়া, বাচ্চা নেয়ার বিষয়টি ছিল বিদ্রোহ৷

‘‘সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা হতে পারে এমন- এটা যুদ্ধের ময়দানে থাকার মতো পরিস্থিতি ছিল এবং মানুষ সবকিছু সত্ত্বেও যুদ্ধের সময় প্রেমে পড়তে পারে এবং পড়ে,'' বলেন স্টেলা মরিস৷ 

আসাঞ্জকে এখন যে কারাগারে রাখা হয়েছে সেখানে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷ এই পরিস্থিতিতে আসাঞ্জের জীবন ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে মনে করছেন মরিস৷

আসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে করা ধর্ষণ মামলা গতবছর খারিজ হয়ে গেছে৷ ফলে এখন যুক্তরাষ্ট্রে বিচারের জন্য তাঁর প্রত্যর্পিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক আসাঞ্জ আর সুইডেনের নাগরিক মরিসের দুই সন্তান যুক্তরাজ্য়ের নাগরিক৷ এই বিষয়টি আসাঞ্জের যুক্তরাজ্য়ে থেকে পরিবার গড়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক৷

জেডএইচ/কেএম (মেল অন সানডে, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য