প্রাণীর উপর পরীক্ষিত প্রসাধনী নিষিদ্ধ
১২ মার্চ ২০১৩ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে৷ ইইউ জানায়, এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ইউরোপ বা ইউরোপের বাইরের যে দেশ থেকেই এসব প্রসাধনী আসুক না কেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে৷ ফলে ইউরোপের ২৭টি দেশে পশুর উপর পরীক্ষিত প্রসাধন দ্রব্য আমদানি নিষিদ্ধ হয়ে গেল৷
বলা বাহুল্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পশুর দেহে বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্যের পরীক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল আরো বহু আগে, সেই ২০০৪ সালে৷ কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞায় অনেক ফাঁক ছিল৷ বিশেষ করে নির্দিষ্ট কিছু উপাদানের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল ছিল৷
ব্যতিক্রমও রয়েছে
সোমবারের ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাতেও কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে৷ ফলে প্রজননের ক্ষতি করতে পারে বা ত্বকে অতিরিক্ত জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, এরকম ঝুঁকি যেসব উপাদানে রয়েছে, সেগুলো আগে পশুর উপর পরীক্ষার সুযোগ এখনো সম্ভব থেকে যাচ্ছে৷ তাছাড়া যেসব উপাদান শুধু কসমেটিকস পণ্যে ব্যবহার করা হয় না, অন্যান্য শিল্পের জন্যও প্রয়োজন, সেগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না৷
তবে ইইউ'র এই নিষেধাজ্ঞায় সন্তুষ্ট নয় ইউরোপের প্রসাধনী শিল্পের সংগঠন ‘কসমেটিকস ইউরোপ'৷ সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘কিছু ঝুঁকি পরীক্ষায় বিকল্প উপায় না থাকায় নতুন ধরনের প্রসাধনী পণ্য তৈরি কষ্টকর হয়ে পড়বে৷''
সামগ্রিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রসাধনী শিল্পের হাত থেকে ইঁদুর, খরগোশ এবং গিনিপিগ কিছুটা হলেও রেহাই পাবে৷ তবে প্রসাধনী পণ্যের ভোক্তারা দ্রুত কোন পরিবর্তন অনুধাবন করবেন না৷ কেননা, যেসব পণ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে তৈরি হয়েছে, সেগুলো ইউরোপের বাজারে বিক্রি অব্যাহত থাকবে৷
উল্লেখ্য, ইসরায়েলেও প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষায় জীবজন্তু ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ প্রাণী অধিকারবাদী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াও এধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে৷ তবে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরকম পরীক্ষায় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই৷ ইইউ চাচ্ছে, এই দেশ দুটিও প্রাণীদেহের উপর পরীক্ষা নিষিদ্ধ করুক৷ এধরনের একটি আহ্বানও সোমবার প্রকাশ করেছে ইউনিয়নটি৷
এআই / এসি (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স)